সকল মেনু

যশোরে ফুল চাষিদের মাথায় হাত

 জেলা প্রতিবেদক, যশোর, ২৭ নভেম্বর:  টানা অবরোধে গোলাপের পাপড়ি ঝরে পড়ছে। ফুটে যাচ্ছে গ্ল্যাডিওলাস। রজনীগন্ধা ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি ফুলের হাট যশোরের ঝিকরগাছার গদখালীতে ফুল পড়ে থাকছে।এক দিনের হরতালে ফুলচাষিদের ক্ষতি হচ্ছে অন্তত ১০ লাখ টাকা। গত এক মাসে আট দিনের হরতাল-অবরোধে ফুলচাষিদের ক্ষতি হয়েছে প্রায় এক কোটি টাকা।ফুলচাষি সমিতির সূত্রে জানা যায়, যশোরের ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলার ৬০টি গ্রামের পাঁচ হাজার কৃষক বাণিজ্যিকভাবে আট হাজার বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ করেন। এই এলাকায় প্রতিবছর ২০০ কোটি টাকার ফুল উৎপাদিত হয়। প্রতিদিন সকালে এই ফুল বিক্রি হয় গদখালী পাইকারি ফুলের হাটে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা এখান থেকে ফুল কিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যায়। প্রতিদিনের হাটে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার ফুল বিক্রি হয়। এসব ফুলের মধ্যে রয়েছে গোলাপ, গ্ল্যাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জারবেরা ও গাঁদা। কিন্তু হরতাল-অবরোধের কারণে গদখালী থেকে কোনো ফুলই ব্যবসায়ীরা নিয়ে যেতে পারছেন না। ফলে হাটে ফুল কেনাবেচা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। ক্ষেতের ফুল ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পানিসরা গ্রামের ফুলচাষি মীর সেলিম এক একর জমিতে গ্লাডুলাসের চাষ করেছেন। প্রতিদিন দুই হাজার স্টিক কেটে তিনি হাটে বিক্রি করেন। সেলিম বললেন, `তাঁর গ্ল্যাডিওলাস ফুল ফুটে যাচ্ছে। হরতাল-অবরোধে ফুল কাটতে না পারায় এক দিনে তাঁর লোকসান হচ্ছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা।`

সৈয়দপাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম গোলাপ ফুলের চাষ করেছেন। প্রতিদিনের হাটে তিনি তিন হাজারটি গোলাপ বিক্রি করেন। মনিরুল বললেন, `হরতাল-অবরোধে আমাদের লাখ লাখ টাকা লোকসান হচ্ছে। গোলাপের পাপড়ি ঝরে পড়ছে। হাটে কোনো ক্রেতা নেই।

ফুলচাষি সমিতির সভাপতি আবদুর রহিম বলেন, `প্রতি হাটে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার ফুল বিক্রি হয়। হরতাল-অবরোধে হাটে সাধারণত ফুল কেনাবেচা হয় না।` ফুল পরিবহন হরতালের আওতামুক্ত থাকা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top