সকল মেনু

নোয়াখালীতে পুলিশ-১৮দলিয় জোটের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

 কামাল হোসেন মাসুদ, নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীতে পুলিশ-১৮দলিয় জোটের ধাওয়া-পাল্টা  ধাওয়া মঙ্গলবার ভোর থেকে জেলা শহর মাইজদীর দত্তের হাট, সোনাপুর জিরো পয়েন্ট, উত্তর সোনাপুর, জহুরুল হক মিয়ার গ্যারেজ, বিশ্বনাথ, পৌরবাজার, মাইজদী কোর্ট মোড়, নতুন বাসস্ট্যান্ড, মাইজদী বাজার, বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা, চৌমুহনী, সেনবাগ, চাটখিল, সোনাইমুড়ী, সুবর্ণচর, কবিরহাট ও বিভিন্ন উপজেলা শহরের সড়কে টায়ারে অগ্নিসংযোগ, রাস্তায় গাছের গুড়ি ও ইট ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করে এবং সকালে নোয়াখালী সরকারি কলেজের বিভিন্ন বিভাগের জানালার গ্লাস ভাংচুর করে ছাত্রদল ও শিবির কর্মিরা। এতে ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যাপীঠের অনন্ত ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। এসব ঘটনায় পুলিশের সাথে অবরোধকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অবরোধ সবছেয়ে অসুবিধা ও দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন বাৎসরিক শিক্ষা সমাপনির পরিক্ষায় অংশ গ্রহন কারি ছাত্র-ছাত্রি। পরিক্ষায় অংশ নিতে দির্গপথ পায়ে পরিক্ষা কেন্দ্রে যাওয়া এবং হেটেই বাসায় পিরতে হয়েছে আতংকের মাঝে।দুপুরে নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ ও ১৮ দলিয় জোটের সংঘর্ষে বালার্ক একাডেমির ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র অর্বি গুলিবিদ্ধ হলে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয় ।নোয়াখালী সরকারি কলেজের প্রায় সব ক’টি বিভাগের জানালার গ্লাস ভাংচুর করে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ স্বপন চন্দ্র রায়। সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচনী তফছিল ঘোষণার পর পরই নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী, বৃহত্তর বাণিজ্যকেন্দ্র চৌমুহনী, সেনবাগসহ বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ৩০টি যানবাহন, ৮-৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংক, ৩০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে। এ ছাড়া রাস্তায় ৩-৪টি মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুবদ্ধরা। চৌমুহনীতে পুলিশ-১৮ দলীয় জোট ও আওয়ামী লীগের মধ্যে রাতভর থেমে থেমে ত্রিমুখী সংঘর্ষ চলে। এছাড়া সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে অবরোধখারীরা রিকশাও চলতে দেয়নি। এ সময় পুলিশের সাথে অবরোধকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা শহরে পুলিশ ৪০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২০ রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে এবং চৌমুহনীতে অর্ধশতাধিক রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও আর্মড পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। জেলা শহরে পুলিশের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষে ১৮ দলীয় জোটের এস.এম নিজাম, মনির, রাসেল, কালাম, জুয়েল, হেলাল, ফাহাদ, হৃদয়, আনোয়ার, ফারুক, রাহাত, সামছুদ্দিন, শিবলু, নাছির, মাছুম, নাছিম, মুজাইফা, রাব্বি, চৌমুহনীর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রনি গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক নেতাকর্মি আহত হয়। অপর দিকে সকালে ছাত্রদল ও শিবির কর্মিরা। নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র হারুনুর রশিদ আজাদ জানান, সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত পুলিশের সাথে ১৮দলীয় নেতাকর্মিদের দফায় দফায় সংঘর্ষে জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মি আহত হয়েছে। নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জেলার কোথায় কত রাউন্ড গুলি করেছে পুলিশ, তার সঠিক পরিসংখ্যান এখনও বলা সম্ভব না হলেও জেলা শহরে মঙ্গলবার সকাল থেকে ৪০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২০ রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের সাথে বিজিবি ও আমর্ড পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলেও তিনি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top