সকল মেনু

পেটের মেদ নিয়ে আর চিন্তা নয়

আপনি দেখতে খুব সুন্দর, লম্বা। কিন্তু পেটে বিশাল বড় ভুঁড়ি। শুধু এই ভুড়ির জন্য আর স্মার্ট দেখা যাচ্ছেনা। বাংলাদেশের মানুষদের খাদ্যাভ্যাসের কারনেই এ সমস্যা প্রায় সবার ক্ষেত্রেই দেখা যায়। পেটের মেদ আর শরীরের অন্য অংশের মেদ কে এক জিনিস ভাবলে ভুল করবেন। পেটের মেদ যেহেতু লিভার, কিডনি ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সাথে লেগে থাকে, সেহেতু এটি আপনার জন্য অনেক বড় বিপদ এমনকি মৃত্যুরও কারণ হতে পারে।

শরীরে এ অংশের মেদের কারণে ডায়োবেটিকস থেকে শুরু করে হার্টের মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর দেখতে তো খুব বিশ্রী লাগেই। তাহলে কি করবেন?

শুধু ব্যায়াম করলেই পেটের মেদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়না। খাবার দাবারেও সতর্ক থাকতে হবে। খাবার সতর্কতা এবং শরীরের বিশেষ কয়েকটি ব্যায়াম আপনার পেটের চর্বিকে কমিয়ে দিবে এবং ভবিষ্যতে এধরনের চর্বি জমা থেকে আপনাকে রাখবে মুক্ত।

করনীয় সমুহঃ
১. প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবু ও একটু লবণ দিয়ে শরবত তৈরি করে খাবেন।

 

২. শরবতটি খাওয়ার পর দুই বা তিন কোয়া কাঁচা রসুন খেলে ভাল ফলপাবেন। তাহলে আপনার শরীরে ওজন কমানোর প্রক্রিয়িাটি দ্বিগুন গতিতে হবে। একই সঙ্গে আপনার শরীরের রক্ত সঞ্চালন হবে মসৃণ গতিতে।

 

৩. সকালের নাশতাতে অন্য খাবার কম খেয়ে এক বাটি করে ফল খেলে পেটের চর্বি থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

 

৪. পানি শরিরের পরিপাকক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং ক্ষতিকর সব কিছু শরীর থেকে বের করে দেয়। সেজন্য সকল ডাক্তারদের পরামর্শে বেশি বেশি পানি খেতে হবে।

 

৫. ভাতের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আটার তৈরি খাবার বেশি খেলে অনেক উপকার পাবেন।

 

৬. খাবার রান্না করার সময় দারুচিনি, আদা, কাঁচা মরিচ বেশি ব্যবহার করুন। এগুলো শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে রাখতে সহায়তা করে।

 

৭. চিনি জাতীয় খাবার শরীরে বিশেষ করে পেট ওউরুতে চর্বি জমতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।সুতরাং চর্বি থেকে বাঁচতে হলে এ জাতীয় খাবারের লোভ সংবরণ করতে হবে।

 

৮. প্রচুর পরিমাণে আঁশ জাতীয় খাদ্য যেমনঃ শাক সবজি, আমড়া,চালতা খেতে হবে।

 

৯. চর্বি জাতীয় খাবার, ফাস্ট ফুড এবং সফট ‍ড্রিংকস (কোকাকোলা,পেপসি ইত্যাদি) খাওয়ার অভ্যাস কমাতে হবে। একদমই না খেলে আর ও ভাল হয়।

 

১০.  ভাজা পোড়া জাতীয় খাবার কম খান। চেষ্টা করুন কম তেলে রান্না করা বা সেদ্ধ করা খাবার খেতে।

১১. প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটুন। যে দূরত্বে হেঁটেই যেতে পারবেন সেখানে রিকশা করে যাবেন না। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটুন।

১২. ভুঁড়ি হবার অন্যতম কারণ খাবার ঠিকভাবে হজম না হওয়া। ঘুমাবার অন্তত দুই ঘন্টা আগে রাতের খাবার খান এবং খেয়ে কিছুক্ষণ হাঁটুন। এতে খাবার ভালোভাবে হজম হবে। পেট বাড়বে না।

১৩.দিনে তিন বেলা ভারী খাবার খাওয়ার চেয়ে ৫ বেলা কম করে খান। একেবারে না খেয়ে থাকা ঠিক নয়। ভাত খাবার চেয়ে ফল বা সবজি বেশি করে খান। পেট ভরবে কিন্তু ভুঁড়ি বাড়বে না।

১৪. অফিস বা বাসায় যতটা সম্ভব লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। এটা পেটের জমে থাকা চর্বি অপসারণের খুব ভাল উপায়। এতে পেটের উপর চাপ পড়ে ও আস্তে আস্তে চর্বি কমতে থাকে।

১৫.চেষ্টা করুন সব সময় সোজা হয়ে দাঁড়াতে, বসতে ও হাঁটতে। কুঁজো হয়ে হাঁটবেন বা বসবেন না। দীর্ঘ সময় কুজো হয়ে এক স্থানে বসে থাকা, কম্পিউটারে কাজ করা এসবের কারণে ভুঁড়ি বেড়ে যায়। প্রতি এক ঘন্টা অন্তর একবার উঠে দাঁড়ান ও সোজা হয়ে বসুন।

১৬.খাওয়া দাওয়া ছাড়াও বিশেষায়িত কিছু ব্যায়াম রয়েছে যা ভুঁড়ি কমাতে সহযোগিতা করে।
একটি বড় বল নিন। সেই বলের ওপর দু পা তুলে দিয়ে চিত হয়ে শুয়ে পরুন। এবার নিজের পায়ের পাতা স্পর্শ করতে চেষ্টা করুন বা উঠে বসতে চেষ্টা করুন। এভাবে দৈনিক ২০ বার করুন। আস্তে আস্তে বাড়িয়ে ৫০ বার করে ফেলুন। ভুঁড়ি কমাতে এর চাইতে কার্যকরী ব্যায়াম কম আছে। খুব কম সময়ে পেটের মেদ ঝরিয়ে সুন্দর আকারে চলে আসবে ।
নিয়মিত খাদ্য অভ্যাস আর রুটিন মাফিক জীবন পরিচালনায় আপনি হবেন সুন্দর সুশ্রী আর আকর্ষণীয় জীবনের অধিকারী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top