সকল মেনু

বাঁধার মুখে সম্ভাবনাময় আউটসোর্সিং খাত

 মেহেদী হাসান, ঢাকা, ২১ নভেম্বর:  সারা বিশ্বে ক্রমেই বাড়ছে আউটসোর্সিংয়ের বাজার। এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। তবে আইটি নির্ভর অবকাঠামো, ইন্টারনেটের ধীরগতির সঙ্গে অধিক মূল্য এবং দক্ষজনবলের অভাবে সম্ভাবনাময় এ খাত চরমভাবে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্বের শীর্ষ আউটসোর্সিং দেশগুলোর মধ্যে জায়গা করে নিচ্ছে বাংলাদেশ। দেশে আউটসোর্সিংয়ে যুক্ত ফ্রি-ল্যান্সারদের সংখ্যা এবং কাজের পরিধি দিনদিন বাড়ছে। যা দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তাই এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকারের উচিৎ হবে ইন্টারনেট এবং জনবল প্রশিক্ষণের দিকে নজর দেওয়া।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মনির হাসান হটনিউজকে জানান, ওডেস্ক, ইল্যান্স এবং ফ্রিল্যান্স মিলিয়ে আউটসোর্সিংয়ে নিবন্ধিতদের সংখ্যা বর্তমানে আড়াই লাখের ওপরে। এর মধ্যে ৩৮ হাজার লোক সক্রিয়ভাবে আউটসোর্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত। তারা প্রতিদিন এ খাত থেকে প্রায় এক কোটি টাকা আয় করছে ।

কর্মক্ষেত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে ওয়েব প্রোগ্রামিং নিয়ে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি আউটসোর্সিংয়ের কাজ হচ্ছে। তবে আমাদের দেশে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) নিয়েই বেশি কাজ করছে। এসইও এর কাজের দাম অনেক কম। তাই আমরা সবাইকে ওয়েব প্রোগ্রামিংয়ের কাজ করার জন্য বেশি উৎসাহিত করছি।

মনির হাসান বলেন, এ খাতের প্রধান প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে ইন্টারনেট স্পিড এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের অধিক মূল্য। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় ব্রডব্যান্ড না থাকায় মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট দিয়ে তাদের আউট সোসির্ংয়ের কাজ করতে হয়, যা ব্যায়বহুল। আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে ইংরেজি জানা দক্ষ জনবলের অভাব।

কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ মোস্তফা জব্বার হটনিউজকে জানান, দেশে বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার লোক সক্রিয়ভাবে আউটসোর্সিংয়ে জড়িত। এ খাতে প্রায় ৪ হাজার ৮০০ প্রকারের কাজ আছে। আর এ বিশাল কর্মক্ষেত্রের জন্য আমাদের যুবকদের তৈরি করতে হবে। এ জন্য দ্রুত গতীর ইন্টারনেট, ইন্টারনেট ব্যবহারের মূল্য কমানো, জনবল প্রশিক্ষণের বিষয়ে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।

এ প্রসঙ্গে তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমান সরকার এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় হাই-টেক পার্ক ও সফটওয়্যার পার্ক তৈরির কাজা করছে। পাশাপাশি ইউনিয়ন পর্যায়ে ফাইবার অপটিক ক্যাবল বসানোর পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া বর্তমান সরকার কয়েক দফায় ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম কমিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আউটসোর্সিংয়ে জনবল প্রশিক্ষণের জন্য এরই মধ্যে ৭ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ প্রকল্পের অধীনে দেশের ৬৪টি জেলায় এ পর্যন্ত ১১ হাজার লোককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আরো তিন হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এছাড়া ৩০৬ কোটি টাকার আরো একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সরকার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top