সকল মেনু

বিএনপির ৫ নেতার জামিনের অধিকতর শুনানী ২৮ নভেম্বর

আদালত প্রতিবেদক:রাজধানীর মতিঝিল থানার পৃথক দুটি মামলায় বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, এম কে আনোয়ার, আবদুল আউয়াল মিন্টু ও শিমুল বিশ্বাসের জামিন আবেদনের উপর অধিকতর শুনানীর জন্য আগামী ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।  প্রাথমিক শুনানী শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জহুরুল হক আরো শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করেন। এরফলে জামিন পাবেন কিনা-সে বিষয় জানতে আগামি ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে
আসামিদের স্বজনদের। এবিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পেশকার ইফতেকার আহম্মদ সাংবাদিকদের জনান, গতকাল প্রাথমিক শুনানী শেষে আগামি ২৮ নভেম্বর অধিকতর শুনানীর জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে পিপি আদ্বুল্লাহ  আবু সাংবাদিকদের জানান, উচ্চ আদালতে নির্দেশনা অনুযায়ী মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২৪ নভেম্বর এই পাঁচ আসামিকে কারাফটকে ঞাসাবাদ করবেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ২৮ নভেম্বর আবারো জামিন আবেদনের শুনানি হবে। এর আগে আসামিদের ইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, গোলাম মোস্তফা খান ও মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ফৌজদারি বিবিধ মামলা (সি আর মিস/জামিনের আবেদন) করেন। জামিন আবেদনে বলা হয়, গত ১৪ নভেম্বর রাজধানীর মতিঝিল থানার দুই মামলায় আসামিদের জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু হাকিম আদালত আসমিদের জমিন বাতিল করে অন্যায়ভাবে রিমান্ডে নেয়ার অন্যায় আদেশ দেয়। এ কারনে আমরা হাকিম আদালত থেকে ন্যায়বিচার পায়নি। পরবর্তীতে উচ্চ আদালত রিমান্ডে নেয়ার সেই আদেশ স্থগিত করে দেয়। এখন হাকিম আদালতের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আমরা এই আদালতে আবেদন করেছি। গত ৮ নভেম্বর মওদুদসহ পাঁচ নেতাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন ৯ নভেম্বর তাদের আদালতে হাজির করে বিশ দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়। সেদিন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের বেদন করেন। পরবর্তীতে ১৪ নভেম্বর এ পাঁচ নেতাকে দুই মামলায় আট দিন রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়। পরে আসামি পক্ষের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার উচ্চ আদালত রিমান্ডের আদেশ স্থগিত করেন। বর্তমানে পাঁচ নেতা কারাগারে রয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top