সকল মেনু

আশুলিয়ার পুলিশের গুলিতে শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ

 হটনিউজ ডেস্ক:  বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো আজ এক বিবৃতিতে আশুলিয়ার আন্দোলনরত শ্রমিকদের উপর পুলিশের গুলি বর্ষণ এবং দুইজন
শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পলিটব্যুরোর বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক খাত তৈরি পোশাক শিল্প। অথচ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সর্ববৃহৎ এ শিল্পের শ্রমিকরা তাদের ন্যূনতম বাঁচার অধিকার থেকেও বঞ্চিত। মালিকরা এই শ্রমিকদের রক্ত জল করা শ্রমের উপর দাঁড়িয়ে মুনাফার পাহাড় গড়ে তুললেও তারা শ্রমের ন্যায্য দাম দিতে চায় না। ন্যূনতম বেঁচে থাকার মতো মজুরি ৮০০০ টাকার দাবিতে শ্রমিকরা আন্দোলন করছে। মজুরি বোর্ড ৫,৩০০ টাকা নির্ধারণ করেছেন সেটা বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট নয়। কিন্তু মালিকরা সেটাও দিতে রাজি নয়। অনেক শিল্প-কারখানার অবৈধভাবে এখনো বন্ধ রেখেছে। এর প্রতিবাদে উল্টো মাসের পর মাস বেতন-ভাতা বকেয়া রাখা হয়েছে, এসব শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য পাওনার দাবিতে রাস্তায় নামলেই তাদের কপালে জোটে মালিক ও পুলিশদের লাঠি-গুলি-টিয়ার গ্যাস। শ্রমিকদের এভাবে নির্যাতন ও দমন করে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প এগিয়ে যেতে পারে না। পলিটব্যুরোর বিবৃতিতে অবিলম্বে শ্রমিক হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি করা হয়। বন্ধ শিল্প কারখানা অবিলম্বে চালু করা, মালিক-শ্রমিক সংগঠনসমূহের সাথে চুক্তি মোতাবেক ৫৩০০ টাকা কার্য্যকরী করা। শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ, শ্রমিকদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করেই শিল্প এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য মালিক ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। পলিটব্যুরোর বিবৃতিতে গাজিপুর থেকে গ্রেফতারকৃত গার্মেন্টস শ্রমিকনেতা কফিল উদ্দিন, জিয়াউল হক জিয়া এবং তনু
মিয়াসহ সকল শ্রমিক ও শ্রমিকনেতার মুক্তি দাবি করা হয়। পুলিশের গুলিতে নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ, আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থার জোর দাবী জানানো হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top