সকল মেনু

ভোলার দৌলতখানে যৌতুকের দাবীতে গৃহবধূকে নির্যাতন

 ভোলা প্রতিনিধি:  ভোলার দৌলতখানে যৌতুকের দাবীতে  স্বামীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে শান্তনা (২৩) নামের এক গৃহবধূ। বর্তমানে সে দৌলতখান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত শান্তনার কাছ থেকে জানা যায়, দীর্ঘ ৫ বছর পূর্বে বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুড়ালিয়া গ্রামের কবিরাজ বাড়ির মোঃ রত্তনের ছেলে সামছুদ্দিনের সাথে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী সামছুদ্দিন তার পিতার নিকট স্বর্ণের চেইন ও কানের ঝুমকা এবং নগদ ৩০ হাজার টাকা যৌতুক বাবদ নেন। এরপর তাদের গর্ভে একটি সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। তার নাম নিহাদ।  সন্তান জন্ম গ্রহণ করার পর সে তার স্ত্রী শান্তনার কাছে একটি গরু ও আংটি দাবী করে। তার দাবীকৃত চাহিদা মিটাতে না পারায় শান্তনার উপর চলে আসে চরম নির্মম নির্যাতন। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে স্বামী শান্তনাকে মারধর করে শরীর ফুলা-জখম করে। কান্না-জড়িত কন্ঠে শান্তনা বলেন, আমরা গরীব মানুষ। আমার স্বামীর যৌতুকের চাহিদা মিটাতে না পারায় সে আমাকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করে আসছে। গত পরশু আমার স্বামী শামছুদ্দিন ও তার বোন দুজনে মিলে আমার চুল ধরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কিল, গুসি ও লাথি মেরে মাটিতে ফেলে চটতে থাকে এবং বলে তোকে মেরে নদীতে ফেলে দিবো। জেল খানা পুরুষের জন্য। আমি জেলখানা ভয় পাইনা। দেখি তোকে কে রক্ষা করে। বর্তমানে শান্তনা দৌলতখান হাসপাতালের চিকৎসাধীন আছে। তার সন্তান নিহাদের জন্য সে প্রতিনিয়ত কেঁদে বলে আমার বুকের মানিক আমার কাছে ফিরিয়ে দাও। পাষাণ স্বামী দুই বছরের শিশুটিকে মায়ের কোল থেকে কেড়ে রেখে দিয়েছে বলেও জানান শান্তনা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top