সকল মেনু

কোরআন অনুযায়ী শফিকে বেত্রাঘাত করা উচিত

 নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা, ১৭ নভেম্বর:  কোরআনের আয়াত অনুযায়ী হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশ এর আমীর আল্লামা শফিকে ৮০টি বেত্রাঘাত করা উচিত। শনিবার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মতবিনিময়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জাম’আত নেতা মাওলানা জিয়াউল হাসান এই কথা বলেছেন। উক্ত মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আহলে সুন্নাত আল জাম’আত নেতৃবৃন্দ ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের, কাজী জাফরউল্লাহ প্রমুখ।

সভায় আহলে সুন্নাত ওয়াল জাম’আত নেতা মাওলানা জিয়াউল হাসান বলেন, কোরআনের আয়াত অনুযায়ী কেউ যদি কোনো নারীর বিরুদ্ধে পাপাচারের অভিযোগ আনে তবে তাকে চারজন সাক্ষী হাজির করতে হয়। শফী সাহেব বলেছেন গার্মেন্টসের মেয়েরা পাপাচার করে। তিনি কি চারজন সাক্ষী নিয়ে আসতে পারবেন? যদি তিনি তা না পারেন তবে কোরআনের আয়াত অনুযায়ী তাকে ৮০টি বেত্রাঘাত দেওয়া উচিত। এছাড়াও কওমি মাদ্রাসা ও কওমি অনুসারীদের তীব্র সমালোচনা করে মাওলানা জাহান শাহ আবেদীন বলেন, যারা হযরত আলীকে (রা.) হত্যা করেছিলো তারা খারেজি। সেই খারেজিরা নাম পরিবর্তন কওমি হয়েছে। খারেজিরা কওমি ও  হেফাজত দুই ভাগে বিভক্ত। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কওমিরা এখন ছোট বোমা বানাচ্ছে। ভবিষ্যতে সনদ পেয়ে চাকরি করতে পারলে তারা বেতনের টাকা দিয়ে বড় বোমা বানাবে। এদের যে কোন মূল্যে রুখতে হবে।

আগামীতে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে ১০ আসনে সুন্নাত আল জাম’আতকে নির্বাচন করতে দেওয়ার সুযোগ চেয়ে জাহান শাহ আরও বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের পাশে থাকলে বিএনপি-জামায়াত হেফাজতের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে পারব। এদের অপপ্রচার থেকে দেশকে রক্ষা করতে পারব। মাওলানা সাইয়্যেদ সাইফুদ্দিন আহমেদ আল হাসানী মাইজভান্ডারী বলেন, শফী মা-বোনদের নির্লজ্জভাবে অপমান করেছেন, গীবত করেছেন। কোরআনে আছে ‘আল গীবত-এ আসাদ্দু মিনাজ যিনা’ মানে গীবত যিনার চেয়ে ভয়ংকর। তাহলে বুঝেন শফী সাহেব গীবত করে কি করেছেন। শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা একজন মোত্তাকি। তিনি ক্ষমতায় থাকলে দেশ বালা মুছিবত থেকে হেফাজত থাকে। সুতরাং ইসলামও তার কাছে হেফাজত থাকবে। মাওলানা ফরিদ উদ্দিন বলেন, জামায়াত-শিবির, কওমি, হেফাজত একই। ওরা ইসলামের দুশমন। যারা শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্বাস করবে না তাদের বাংলাদেশে থাকার অধিকার নেই।

আবু সুফিয়ান আল কাদেরী আল আবেদী বলেন, স্বাধীনতার মূল দল আওয়ামী লীগ। ইসলামের মূল দল আহলে সুন্নাত আল জাম’আত। জামায়াত-শিবির, কওমি, হেফাজত সব একই। এদের মূল শয়তান। সেই শয়তানের নেতা হিসেবে আমি শফী সাহেবকে পুনরায় ইসলাম গ্রহণ করা আহ্বান জানাচ্ছি। চট্টগ্রাম জমিউয়াতুল ফালাহ মসজিদের খতিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আল কাদেরী বলেন, শেখ হাসিনাকে আমরা ইবাদতে গুজার থাকতে দেখেছি । আমরা সুন্নাত আল জাম’আত দোয়া করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন বাংলাদেশে সুন্নিয়াত জারি রাখতে পারেন।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেন, সুন্নাত আল জাম’আত আমাদের আত্মার আত্মীয়। বিএনপি জামায়াতের অপপ্রচার মোকাবেলা করতে হবে।

এসময় অন্যান্য বক্তারা বলেন, জামায়াত-শিবির এবং কওমি, তেঁতুলবাদীদের বিরুদ্ধে সবাইকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top