সকল মেনু

বগুড়ায় হরতালে রেল লাইন উৎপাটন ৪ ঘন্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু

bogra বগুড়া ব্যুরো অফিস :  ১৮ দলের ডাকা ৮৪ ঘন্টা হরতালের দ্বিতীয় দিনে বগুড়ায় রেল লাইন উৎপাটন , ককটেল বিষ্ফোরন ,রাস্তায় টায়ার জালিয়ে সড়ক অবরোধ, মিছিল ও পিকেটিং মধ্য দিয়ে হরতাল পালিত হচ্ছে। তবে এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।তবে হরতালে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। শহরের গলিপথে মানুষ পায়ে হেঁটে চলাচল করছে। সরকার নিয়ন্ত্রিত বিআরটিসি বাস , ট্রাক সহ সব ধরনের যানবাহন বন্ধ রয়েছে। সবধরনের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান , দোকান পাট  বন্ধ রয়েছে। সরকারী অফিস আদালত খুললেও কর্মকর্তা কর্মচারী ছাড়া কাউকে দেখা যায়নি। বিজিবি ,র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ টহল জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ পিকেটিং করতে বাধা দিচ্ছে। বগুড়া রেলওয়ে ষ্টেশন সূত্রে জানা গেছে , রোববার মধ্যরাতে বগুড়া ষ্টেশনের ২ কিলোমিটার পশ্চিমে শহরদিঘিী নামক স্থানে কে বা কারা বগুড়া সান্তাহার পথের ১০ ফুট রেল লাইন তুলে ফেলে । এসময়  সেখানে দু’টি ট্রেন মুখোমুখি সামনে আটকে যায়। এতে অল্পের জন্য দূঘৃটনা থেকে রক্ষা হয়। ফলে রাত সাড়ে ১২টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।  ৪ ঘন্টা বন্ধের পর লাইন মেরামতের পর আবারও ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এসময় কয়েকটি রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে কোন অঘটন ঘটেনি। হরতালের সমর্থনে সকাল ৬টা থেকে পিকেটিং শুরু করে বিএনপি , জামায়াত, যুবদল , স্বেচ্ছাসেবকদল  ছাত্রশিবির ,ছাত্রদল , সদর উপজেলা বিএনপি সহ ১৮ দলের নেতাকর্মীরা। ইসলামী ছাত্রশিবির শহরের গোহাইল রোড, খান্দার , পিটিআই মোড়, চারমাথা , তিনমাথা , সাবগ্রাম, দ্বিতীয় বাইপাস সহ বিভিন্ন স্থানে মিছিল করে। এসময় তারা রাস্তায় আগুন দিয়ে সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ করে।

সকাল ৮টায় সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহমেদ খান রুবেলের নেতৃত্বে ১৮ দলের নেতাকর্মীরা মাটিডালী বিমানমোড়ে বিরাট মিছিল বের করে। সেখানে কয়েকটি ককটেল বিষ্ফোরন ঘটে । তারা রাস্তায় টায়ার জালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। এরপর তারা বিমানমোড়ে সমাবেশ করে। এতে বক্তব্য রাখেন মহিলা দলের উপজেলা সভানেত্রী নাজমা আক্তার , বিএনপির আব্দুল গফুর , শামছুল আলম, রেজাউল হক, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top