সকল মেনু

যুক্তরাষ্ট্রের গুড়ো মশলায় পোকামাকড়, মরা ইদুঁর

gura,P20mosholla20131107134329.jpg.pagespeed.ce.qJp-fPWsB5 আফিফা জামান, ঢাকা,৭ নভেম্বর:  বাংলাদেশে যখন গুঁড়ো হলুদে উচ্চমাত্রায় সিসা পাওয়া নিয়ে তোলপাড় চলছে। এমনকি মানসম্মত পণ্য উৎপাদন না করার অভিযোগে প্রতিষ্ঠিত প্রাণ কোম্পানীর লাইসেন্স বাতিলের উপক্রম। ঠিক এমন সময় বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গুঁড়ো মশলায় পাওয়া গেল পোকামাকড়ের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, পাখির পালক, মানুষের চুল, রাবার ব্যান্ড এমন কি মরা ইদুঁরের দেহাবশেষ। অবিশ্বাস্য হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য পরিদর্শকরা আমদানি করা মশলার মধ্যে এর প্রায় সবকটি উপাদানই পেয়েছে বলে আমেরিকার একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) গত সপ্তাহে আমদানি করা মশলায় বিপদজনক এ সব উপাদান এবং জনস্বাস্থ্যের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে নাগরিকদের সতর্ক করে বার্তা প্রচার করছে। সূত্র থেকে জানা যায়, এই মশলাগুলোর অধিকাংশ আমদানি হয়েছে ভারত, চীন, ভিয়েতনাম এবং মেক্সিকো থেকে। এফডিএ বলেছে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা মশলার ১২ শতাংশের মধ্যেই এই উপাদানগুলো পাওয়া গেছে। ২০০৭ এবং ২০১০ সালে আমদানি করা মশলায় পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, অন্য যে কোনো ধরনের খাবার উপাদানের চেয়ে মশলা দূষিত হওয়ার পরিমান দ্বিগুণ। কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মশলাজনিত কারনে নানা ধরনের রোগবালাই দেখা দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এফডিএ আমদানি করা মশলার উপর পরীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এফডিওর তথ্যমতে, ২০০৯ এবং ২০১০ সালে ভারত, ভিয়েতনাম এবং চায়না থেকে আমদানি করা মরিচের কারনে শত শত লোক অসুস্থ হয়ে পড়ে। মশলাজনিত কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অন্তত ১৪ বার মহামারি মতো রোগের বিস্তার ঘটেছে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এর স্বীকার হয়েছে শিশুরা। এফডিএ জানিয়েছে, গত তিন বছরে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি হয়ে আসা ৭৪৯ টি চালান যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে না দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ২৩৮টি চালান ফেরত পাঠানো হয়েছে মশলার মধ্যে পোকামাকড়,মানুষের চুল, ইদুঁরের দেহাবশেষের মতো পদার্থ থাকার কারনে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top