নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা, ৭ নভেম্বর:  একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পকে বিশেষায়িত ব্যাংক ‘পল্লীসঞ্চয় ব্যাংক’ গঠনের প্রস্তাবে সম্মতি দিলো অর্থমন্ত্রণালয়। মন্ত্রিসভার অনুমোদন শেষে জাতীয় সংসদে পাশ হলেই  ‘পল্লীসঞ্চয় ব্যাংক’ হবে প্রকল্পটি। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ কথা জানিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, আজ সিদ্ধান্ত নিলাম পল্লীসঞ্চয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করবো। এ লক্ষ্যে একটি আইনও তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যা যাচাই-বাঁছাইয়ের জন্য আগামী সপ্তাহে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় তোলা হবে। অনুমোদন পেলে জাতীয় সংসদে, সেখানে পাশ হলে ব্যাংক স্থাপন হবে। আগামী ১৮ নভেম্বর জাতীয় সংসদ বসবে। সেই সময়েই তোলা হবে এটি। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঞ্চয় সেবা দিতে এবং ঋণ বিতরণের জন্য একটি বিশেষায়িত ব্যাংকের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের আওতায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে বর্তমানে ১০ লাখ ৩৮ হাজার সুবিধাভোগী পরিবার রয়েছে। একেকটি পরিবারের জন্য এক হাজার ৩৩২ কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়। বুধবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, আইনের মাধ্যমে আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মতো অ-তফসিলি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে পারবে সরকার। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের মতো বিশেষায়িত ব্যাংক হবে। তবে গ্রামীণ ব্যাংকের যে ফল্ট ছিলো, তা থাকবে না এই ব্যাংকে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রকল্পটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক ব্যাংক করতে চাইলে পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম ৪শ’ কোটি টাকাসহ পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী হিসেবে নিবন্ধিত হতে হবে। ১৯৯১ সালের কোম্পানী আইনের ৩১ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে লাইসেন্স নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদোগে গত ৩০ জুলাই একনেক সভায় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক স্থাপনের সিদ্ধান্তটি হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ বিভাগ এবং ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের মতামতের জন্য পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ থেকে চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠির আলোকে বুধবার সম্মতি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।