সকল মেনু

বিএনপির সঙ্গে ভারতের ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হবে-আনন্দবাজার পত্রিকা

xab-0020131107031012.jpg.pagespeed.ic.vncvw2yHyP কলকাতা প্রতিনিধি, ৭ নভেম্বর :  বিএনপির সবিনয় এবং দ্বীচারিতা দেখল পশ্চিমবঙ্গ। বুধবার কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায়  এক চিঠিতে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সবিনয়ে লিখেছেন:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, বর্তমানে লন্ডনে চিকিৎসাধীন তারেক রহমানের সঙ্গে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-এর সংযোগ রয়েছে বলে আপনার পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, সেটি অসত্য ও ভিত্তিহীন। এটি এমন একটা সময়ে প্রকাশ করা হল, যখন বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন।

সকল জনমত জরিপের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যে, আগামী নির্বাচনে বিএনপি জাতীয় সংসদের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করবে। এমন পরিস্থিতিতে এ ধরনের একটি প্রচারণার ফলে তারেক রহমান ও বিএনপি সম্পর্কে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হবে। বিএনপির সঙ্গে ভারতের জনগণ ও সরকারের একটা ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশের জনগণের চোখে  তারেক রহমানের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ণ হবে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সকল দেশকে বাংলাদেশের জনগণের বন্ধু মনে করে। বাংলাদেশের কোনও কোনও রাজনৈতিক দল বিদেশি সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থার সমর্থনের ওপর নির্ভর করলেও, বিএনপি তা করে না। বিএনপি সকল দেশ, বিশেষ করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর করার লক্ষ্যে কাজ করে আসছে। প্রতিবেশীসহ কোনও দেশের স্বার্থপন্থী কাজে বাংলাদেশের জমিনকে ব্যবহার করতে না দেওয়ার নীতিতেও বিএনপি অবিচল রয়েছে। দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক, জাতীয়তাবাদী নেতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান  তারেক রহমান শহিদ জিয়ার উত্তরসূরি হিসেবে তাঁরই লালিত আদর্শ ও লক্ষ্যকেই অগ্রসর করে নেওয়ার কাজে অংশগ্রহণ করছেন।

তিনি রাজনৈতিক দীক্ষা নিয়েছেন তাঁরই প্রথিতযশা মা, বিএনপির বর্তমান চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে। তিনি এমন এক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন যে শান্তিতে থাকবে এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করবে।
তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁর চিকিৎসা ও আরোগ্যলাভের প্রক্রিয়া দীর্ঘ ও কষ্টকর। আনন্দবাজার উল্লিখিত তৎপরতায় তাঁর জড়িত থাকার কোনও দূরতম সম্ভাবনাও নেই।

রুহুল কবির রিজভী নিজের লেখা চিঠিতে আরো বলেছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সকল দেশকে বাংলাদেশের জনগণের বন্ধু মনে করে।পশ্চিমবঙ্গের পাঠক রাজনীতিক সকলেই বুধবার সকালে আনন্দবাজার পত্রিকা পড়ার পর এবেলা ট্যাবলয়েড পত্রিকার প্রতিবেদন,বাংলাদেশের নির্বাচনে ভারতের হাত দেখছেন বিএনপি নেতারা শিরোনামে প্রতিবেদন দেখে গোলক ধাঁধাঁয় পড়েছেন।

কারণ, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুলের মন্তব্য করেছেন, একটি প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে এক হাজার কোটি টাকা খরচ করতে চলেছে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে জেতাতে। তবে ফখরুল ভারতের নাম না করে কথাগুলো বলেছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে আবার বলা হয়েছে,যে ফখরুল ঢাকার একটি কাগজের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এক অভিযোগে বলেছেন, ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে ভারত ৮০০ কোটি খরচ করেছিল। আর আনন্দবাজার পত্রিকার চিঠিতে রিজভী লিখেছেন, বাংলাদেশের কোনও কোনও রাজনৈতিক দল বিদেশি সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থার সমর্থনের ওপর নির্ভর করলেও, বিএনপি তা করে না।
বিএনপি র যুগ্মমহাসচিব ও মহাসচিবের ভারত নিয়ে  আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীর দুই কাগজে সবিনয় চিঠি এবং দ্বীচারি অবস্হান প্রতিবেদনে স্পষ্ট ধরা দিয়েছে ।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, খালেদা জিয়া গত নভেম্বরে সরকারী সফরে দিল্লি এসে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সাথে সাক্ষাত করেননি। খালেদা দিল্লি সফরে এসে ভারতের রাজনৈতিক কারবারীদের কাছে ভারত ইস্যুতে সর্ম্পককে মসৃণ করার উৎসাহ দেখিয়েছেন। অথচ দলের শীর্ষ নেতার অভিযোগ নিয়ে বিএনপির ভারত নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ভারতীয় জনমানসে।

বিএনপি দলের দুই শীর্ষ নেতার দ্বীমেরু মনোভাবের প্রতিক্রিয়ায়, বিজেপি নেতা তথাগত রায় বলেন, আমরা বাংলাদেশকে প্রতিবেশি ভাবলেও বিএনপি তা ভাবে না। তা তাদের শীর্ষ নেতাদের বহিপ্রকাশে স্পষ্ট। কংগ্রেস দলের পশ্চিমবঙ্গ শাখার নেতারা বলেন, বিষয়টি দুটি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের তাই আমাদের দলের শীর্ষ নেতৃত্বরাও প্রকাশ্যে কিছু বলেন না। যদি সরকারীভাবে বিষয়টি ড্রিল হয় তবে দিল্লি বিষয়টি দেখবে।

আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের পরিষ্কার মন্তব্য এটা দুটি দেশের বিষয় আমরা আলটপকা মন্তব্য করতে চাই না। সিপিএম নেতা এবং সাবেক মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, যিনি বলেছেন, তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কথা বলে থাকতে পারেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top