সকল মেনু

কুড়িগ্রাম বেলগাছায় নির্দয় তান্ডব

download ডাঃ জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের বেলগাছা ইউনিয়নের ধঞ্জয় গ্রামে নির্দয় প্রতিপক্ষের অর্ধশতাধিক লোক টানা ৯ঘন্টা তান্ডবলীলা চালিয়ে ঘরবাড়ী ভাংচুর সহ ৮৫ শতক জমির কাঁচা ধান ও অসংখ্য গাছপালা কেটে নিয়েছে। এ ঘটনার ঘটেছে ঘটেছে গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা থেকে পরদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সমরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বেলগাছা ইউনিয়নের ধঞ্জয় গ্রামের বাসিন্দা মজিবর রহমান কবিরাজের সাথে একই এলাকার আবু বক্কর’র জমি-জমা কেন্দ্রীক বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ১৪টি শালিস বৈঠক বসেছিল। কিন্তু প্রতিপক্ষ আবু বক্কর একগুয়েমী মনোভাবের কারনে ওই বিরোধ নিষ্পত্তি হয়নি। এরই জের ধরে প্রতিপক্ষ আবু বক্কর’র নেতৃত্বে প্রায় ৪৪ জনের একটি সন্ত্রাসীদল দা, কুড়াল, শাবল, সহ দেশীয় তৈরী আরো বিভিন্ন প্রকার ধারালো অস্ত্র নিয়ে শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নিরীহ মজিবর রহমান কবিরাজের বাড়ীতে হামলা শুরু করে। এ ঘটনার তিনটি টিনের ঘর, একটি ছায়লা ঘর, একটি টিউবওয়েল, একটি সেচ মিটার, একটি সেচকাজে ব্যবহৃত বডিং ভেঙ্গে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয় সন্ত্রাসীরা ৮৫ শতক জমির কাঁচা ধান, ৪টি মেহগুনিগাছ, ২০টি ইউক্লিপটার্স গাছ, ১টি কাঁঠালভর্তি গাছ, ৪টি পেঁপে গাছ, ১টি জামবুড়া গাছ, ২টি পেয়ার গাছ, ১শ’ ৫৬টি সুপারী গাছ, ২টি বড়াই গাছ, ১টি লাউ গাছ ও ১টি জিগা গাছ কেটে নিয়ে যায়। একই ঘটনার তারা ৪ শতক জমির আদা ও হলুদ ও তুলে নিয়ে গেছে।

গত কাল শনিবার সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা যায় যে জায়গাগুলি সবুজ ধান ক্ষেত ও গাছ পালায় ভারা ছিল, সেই জায়গাটি এখন বিরাণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। সেখানে একটি সাজানো গোছানো বাড়ী ছিল সেকানের আর বাড়ীর চিহ্নিটি পর্যন্ত নেই। শুধু মাত্র পড়ে আছে ভিটে মাটি। সরেজমিনের আরো দেখা যায় লুটপাট করে নিয়ে যাওয়া সম্পদগুলি নির্দয় প্রতিপক্ষ আবু বক্কর সহ তার পালিত সন্ত্রাসীদের বাড়ীতে মজুদ করে রাখা হয়েছে। এ ঘটনার খবর পেয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানার পুলিশ আফিসার জিয়া’র নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কোন কার্যকর এ্যাকশন না নিয়ে চলে আসে। এব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ মজিবর রহমান কবিরাজের কান্না জাড়িত কন্ঠে জানান- ওরা (সন্ত্রাসীরা) যদি আমার উপর হামলা চালাতো তাও দুঃখ থাকতো না। তারা যেভাবে দলবন্ধ হয়ে আমার বাড়ী-ঘর ভাংচুর সহ জীবত গাছ পালা ও ধানের ক্ষতি সাধন করেছে তাতে আমি খুব বেশী মর্মাহত হয়েছি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top