সকল মেনু

সিঙ্গাপুরে অর্থপাচার মামলায়, নিদোর্ষ দাবি মামুনের

1220_1 আদালত প্রতিবেদক:  সিঙ্গাপুরে অর্থপাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু ব্যবসায়ি গিয়াস উদ্দিন আল মামুন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চেয়েছেন। গতকাল ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মোতাহার হোসেনের আদালতে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এসব কথা বলেন। এসময় মামুন ৫ পৃষ্ঠার জবানবন্দি লিখিত আকারে আদালতে জমা দেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি ১৯৮৬ সালে পৈতৃক ব্যবসায় যোগদানের পর থেকে এ পর্যুন্ত তার কর্মকান্ড, তত্ত্বাবধায়ক আমলে গ্রেফতার ও গ্রেফতারের পর বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা দেন। এরপরে আত্মপক্ষ সমর্থন করে মামুনের দেয়া বক্তব্য শেষ হওয়ার পর তার পক্ষে ২৪ জন সাফাই সাক্ষি নামের আদালতে দাখিল করা হয়। এই সাফাই সাক্ষিদের মধ্যে ৮ জনকে ৩১ অক্টোবর আদালতে হাজির হতে সমন দেয়া হয়েছে বলে জনিয়েছেন মামুনের আইনজীবী এবিএম খায়রুল ইসলাম লিটন। জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন, ‘কনসালটেন্সি ফি হিসেবে সাত লাখ পঞ্চাশ হাজার ডলার হারবীন পাওয়ার কোম্পানি (বিদেশী) কোম্পানি আমাকে দিয়েছে। ওই টাকা আমার। আমার সিঙ্গাপুরস্থ সিটি ব্যাংকের একাউন্টে ওই টাকা জমা দেয়া হয়। হারবিন পাওয়ার ইঙ্গিনিয়ারিং কোম্পানি খাদিজা ইসলামের সিঙ্গাপুরের একাউন্টে এই টাকা পাঠায়। এই টাকা বাংলাদেশ থেকে পাঠানো হয়নি।’ জবানবন্দিতে মামুন আরো উল্লেখ করেন, ‘সিঙ্গাপুরের আইন অনুযায়ী ইন্টারন্যাশনাল গোল্ড ভিসা কার্ড এবং সাপ্লিমেন্টারী গোল্ড ভিসা কার্ড প্রাপ্ত হয়েছি। কার্ড দুটি আমার নিজের নামে ইস্যুকৃত। ওই টাকা বাংলাদেশ থেকে পাঠানো হয়েছে কিনা তার দালিলিক প্রমাণ হাজির করতে পারেনি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।’ জবান বন্দি গ্রহণ শেষে আগামী ৩১ অক্টোবর মামুনের পক্ষে আদালতে আট জন সাফাই সাক্ষী সাক্ষ্য দেওয়ার আদেশ দেন। আট সাফাই সাক্ষী হলেন ওয়ান গ্রুপের কর উপ-দেষ্টা আহমেদ আজম খান, ওয়ান কম্পোজিট মিলস লিমিটেডের পরিচালক নাসির উদ্দিন মিঞা, বাবুল কাজী, এনামুল হক, ইরশাদ করিম, হারুন অর রশীদ, আবেদ হাসান মাহমুদ ও এ এইচ এম জাহাঙ্গীর।

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর দুনীর্তি দমন কমিশন এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা করে। এরপরে ২০১১ সালের ৬ জুলাই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু ব্যবসায়ি গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট (অভিযোগ পত্র) দাখিল করেন দুদক। অভিযোগপত্রে বলা হয়, টঙ্গীর বিসিক শিল্প এলাকায় একটি ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র ¯’াপনের কার্যাদেশ পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে “নির্মান কনষ্ট্রাকশন লি.” কোম্পানির ব্যব¯’াপনা পরিচালক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে তারা দুই জন মিলে গ্রহন করে ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে থেকে ২০০৭ সালের ৩১ মে পর্যন্ত ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা সিঙ্গাপুরের ৬৫, চুলিয়া ষ্ট্রীট এর ওভারসীজ চাইনিজ ব্যাংকিং করপোরেশন লিমিটেড (ওসিবিসি) এ পাচার করেছে। গতকাল গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আর তারেককে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার বিচার চলছে বলে তার পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো সাক্ষীকে জেরা করার সুযোগ পাচ্ছেন না আইনজীবীরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top