হটনিউজ বিনোদন ডেস্ক:  ঢাকার ধানমন্ডি, উত্তরা, গুলশান, বনানী, সেগুনবাগিচা এলাকায় ফ্ল্যাট বাসা নিয়ে চলছে কলগার্ল বিজনেস। মডেল প্রোভাইডার হিসেবে পরিচিত অনেক প্রযোজক, পরিচালক এবং এক সময়ের নামি অভিনেত্রীরা এই কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন।এজেন্ট আর ক্লায়েন্টের সম্পর্কটা এখানে ত্রিভুজের মতো। ক্লায়েন্ট-কলগার্ল এবং এজেন্ট একটা সুক্ষ্ম সম্পর্কে আবদ্ধ। সমসত্ব লেনদেন হয় এজেন্টের মাধ্যমে। এজেন্ট তার নিজের কলগার্লদের এবং ক্লায়েন্টের ডিমান্ড সম্পর্কে সব সময় সচেতন থাকে। এজেন্ট টারমনোলজিতে ডিমান্ডের অর্থ হল কলগার্লটির ‘ভ্যালুয়েশন।’

কলগার্লের সৌন্দর্য, স্বাস্থ্য এবং গ্লামার ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে সংযোগের মোট মূল্য (শহুরে, মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্ত, শিক্ষিত এবং সমাজের উঁচুতলার মানুষের সঙ্গে পরিচিত)। ‘এজেন্ট’ই অধিকাংশ সময় প্রোগ্রাম তৈরি করেন। ক্লায়েন্টের চাহিদা এবং টাকা খরচ করার ক্ষমতার উপর নির্ধারিত হয় প্রোগ্রাম কেমন হবে।একটা প্রোগ্রাম আয়োজনের ‘সময়’ এবং ‘স্থান’ স্থির হয় ক্লায়েন্ট এবং কলগার্ল উভয়ের সুবিধা মত। ঢাকার এক একজন এজেন্টের অধীনে শতাধিক কলগার্ল রয়েছে বলে অনুসন্ধানে জানা যায়।

আবার এই পেশায় অনেক দিন আছেন এমন কলগার্লরা নিজেই এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন- এমন উদাহরণও বিরল নয়।সচরাচর কোন কলগার্লের বয়স বেশি হয়ে গেলে বা চাহিদা কমে আসলে তারা তখন এজেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন। ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাট নিয়ে থাকা এমন একজন কলগার্লের কাছ থেকে জানা যায় তিনি নিজেই এখন এজেন্ট। নিজের ফ্ল্যাটেই অফিস খুলে বসেছেন। তার আন্ডারেই রয়েছে ২০ জনেরও বেশি কলগার্ল।

ঢাকার বেশ কয়েকটি নামী কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন মেয়েও যে তার সাথে কাজ করনে -এ কথা জানান তিনি।মনিকা জানান, এরা কখনোই নিজে কোন ক্লায়েন্টের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে প্রোগ্রামে অংশ নেয় না। কারণ হিসেবে নিজেদের গোপনীয়তা প্রকাশ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে এমনটি বলে জানান তিনি।ইডেন এবং তিতুমীর কলেজে পড়ে এমন দু’জন কলগার্লের সাথে ফোনে ব্যক্তিগত যোগাযোগ করা হলে তারা দু’জনই তাদের এই গোপন অভিসারের কথা অস্বীকার করেন।

এদের একজনের সেলফোন নম্বর আবার ইন্টারনেটে নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে সংরক্ষিত আছে। ওয়েব পেজে তার পরিচিতিতে কলগার্ল কথাটির সাথে আবেদনময় আহ্বান রয়েছে। ওয়েব সাইটটিতে তার ছবিও আপলোড করা। ওয়েবে থাকা স্টিল ফটোগ্রাফটি নিজের বলে স্বীকার করলেও তিনি যে কলগার্ল ধরনের কিছু নন, তা বারবার বোঝাতে চেষ্টা করেন।মেয়েটির ইংরেজি বলার ধরণ বেশ পরিষ্কার। কলগার্ল না হলে সেলফোন বন্ধ করে দিচ্ছেন না কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে কোন উত্তর দিতে পারেননি তিনি।

এখানে এজেন্ট কলগার্ল সম্পর্কটা চমকে দেয়ার মতো। এজেন্টরা নিজেদের কলগার্লদের ব্যাপারে অনেক যত্নশীল। ঢাকায় এই কলগার্লরা কখনও কখনও বাইরে গিয়েও প্রোগ্রাম করেন। ডিমান্ডেবল কলগার্লদের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতাও রয়েছে। ওয়েব সাইট ঘেঁটে দেখা যায়, স্কর্ট এজেন্সিগুলো সারা বিশ্বে একটা নেটওয়ার্ক হয়ে কাজ করে। ফলে অনেক সময় কলগার্লদের দেশের বাইরে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে।

কেমন করে তারা আজ কলগার্ল:

উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করার সবচেয়ে সহজ হাতিয়ার হলো কলগার্ল বনে যাওয়া! টেলিভিশন ও সিনেমার পরিচালক-প্রযোজকের লোভনীয় অভিনয়ের সুযোগ বাস্তবায়ন করতে, মডেল হওয়ার খায়েশ পূরণ করতে, সখের বসে এমনকি উচ্চবিত্ত গৃহবধূ একাকিত্ব দূর করতে তার বন্ধুর মাধ্যমে জড়িয়ে পড়ে এই ধরনের পেশায়।তবে শুধু টাকার অভাবে এই পেশায় নাম লিখিয়েছে এমনটি শোনা যায়নি। একজন কলগার্ল জানান, তার স্বামীর অন্য সম্পর্ক ছিল। সে অনেক চেষ্টা করেও তাকে না ফেরাতে পেরে জিদের বসে নিজে এমন পেশায় জড়িয়ে পড়েছেন।কলগার্লরা নেটওয়ার্কে ঢোকেন বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, সিনেমা-টেলিভিশন পরিচালক-প্রযোজক, বিউটি পার্লার, ড্যান্স স্কুল এবং অন্যান্য লোকজনের মাধ্যমে।বাড়তি রোজগারের লোভে, ভাল ক্যারিয়ারের আশায়, কারোর কাছ থেকে প্রতারিত হয়ে কিংবা স্বামীর অবহেলায় কানত্ম হয়ে, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে, নামকরা মডেল বা অভিনেত্রী হওয়ার আশায় এই শহরে গোপনে গোপনে ‘কলগার্ল’ হয়েছেন অনেকেই।এই পেশায় সিনেমা-টেলিভিশনের অভিনেত্রী থেকে শুরু করে উঠতি গায়িকা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা মডেল ছাড়াও আছেন মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত পরিবারের বিবাহিত-অবিবাহিত মেয়েরা। এদের অনেকেই আবার সমাজে পরিচিত।অর্থাৎ তারকা হিসেবে তাদের ফেইসভ্যালু রয়েছে। এসব তারকাদের যে কোন প্রোগ্রাম আয়োজনে থাকে কঠোর গোপনীয়তা। আর এক্ষেত্রে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করে এজেন্ট কর্তৃপক্ষ।আর ক্লায়েন্টের তালিকায় আছেন মূলতঃ ব্যবসায়ীরা। বিদেশী ক্লায়েন্টদেরও মনোরঞ্জন করে থাকেন ঢাকার কলগার্লরা। যাদের কাঁচা টাকা ওড়াতে কোন বাধা নেই, কেবল তারাই কলগার্লদের নিয়ে মেতে ওঠেন কামনা-বাসনা চরিতার্থ করার এই জমকালো আয়োজনে। তবে সাধারণ মানুষও যে নেই, তাও নয়। তবে সে সংখ্যা একেবারেই হাতে গোণা।কলগার্ল হওয়ার পাশাপাশি এদের অন্য একটা পরিচিতিও রয়েছে। সেই পরিচিতিই এদেরকে সমাজে আড়াল করে রাখে। কেউ স্টুডেন্ট, কেউ বিউটিশিয়ান, কেউ ম্যাসিউজ, কেউ প্রাইভেট টিউটর, কেউ বুটিক চালান, কেউ অভিনেত্রী। আছেন গৃহবধূরাও। এরা যেন চেনামুখের আড়ালে অচেনাজন।

ঢাকার কলগার্ল:

-এরা কোনও নির্দিষ্ট পতিতালয় নির্ভর নন।

-এরা চলমান মহিলা যৌনকর্মী। একা বা কোন এজেন্ট দ্বারা নিজেদের পরিচালিত করেন।

-প্রত্যেকটি প্রোগ্রাম (যৌনকর্ম) আয়োজনে থাকে গভীর গোপনীয়তা। সপ্তাহে সর্বোচ্চ দুই কিংবা তিনটি প্রোগ্রামে অংশ নেন একজন কলগার্ল।

-প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয় সাধারণ হোটেল, রিসর্ট, প্রাইভেট ফ্ল্যাট ও ম্যাসেজ পার্লারে।

-এরা সকলেই শিক্ষিত এবং বাংলা-ইংরেজিতে পারদর্শী। এছাড়াও কেউ কেউ হিন্দিতেও অনর্গল কথা বলতে পারেন।

-এদের বেশিরভাগ উচ্চবিত্ত পরিবারের সদস্য। উচ্চাভিলাসী মধ্যবিত্তের সংখ্যাও কম নয়। বাইরের থেকে দেখে কোনভাবেই বোঝা যাবে না এরা কলগার্ল।

-বেশিরভাগই এ পেশার বাইরেও অন্য কাজ করে থাকেন, যেখান থেকে আয়-রোজগারও যথেষ্ট।

ডিমান্ড আছে যাদের:

জানা যায়, ক্লায়েন্টদের কাছে কম বয়সী স্কুল এবং কলেজের মেয়েদের চাহিদা বেশি। ফলে এই সব স্কর্ট এজেন্সিগুলোর নজর থাকে ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলের সাথে সাথে স্বনামধন্য ঢাকার স্কুল কলেজগুলোর দিকে।

স্কর্ট এজেন্টগুলো বিভিন্নভাবে ফাঁদ পেতে স্কুল-কলেজের মেয়েদের কৌশলে কলগার্লের খাতায় নাম লেখিয়ে নিচ্ছে। অর্থের লোভ দেখিয়ে নতুন নতুন মেয়েদের নেটওয়ার্কে নিয়ে আসতে পারঙ্গম এরা। তবে এরা পতিতালয়ের তথাকথিত ‘পিম্প’ বা দালালদের মতো নয়।

স্কর্ট এজেন্সি এবং কলগার্ল:

ঢাকার স্কর্ট এবং কলগার্ল এখন একে অপরের পরিপূরক শব্দ। বৈধতার সনদ দেখিয়ে এরা প্রকাশ্যে কলগার্ল বিজনেস চালিয়ে যাচ্ছে। ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করতে কলগার্ল বিষয়ে যাবতীয় তথ্য, ছবি এবং কলগার্লের রেট দিয়ে ওয়েব সাইটের মাধ্যমে যাবতীয় তথ্য অনলাইনে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

দেশের বাইরে থেকেও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কলগার্ল বুকিং দেয়া যায়।

ভয়ঙ্কর ব্যাপার হচ্ছে- এসব ওয়েব সাইটে তরণীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের কথা বলে নতুন নতুন কলগার্ল হওয়ার জন্য আহ্বান রয়েছে। সেই সাথে ক্লায়েন্ট এবং কলগার্লদের জন্য যাবতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখার কথা ওয়েব সাইটের মাধ্যমে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

ঢাকার স্কর্ট এজেন্সিগুলোর প্রত্যেকের রয়েছে নিজস্ব কলগার্ল ডেটাবেজ। ছবিসহ এসব ডেটাবেজে গ্রাহক হওয়ার মাধ্যমে প্রবেশ করা যায়। আবার সব কলগার্লের ছবি ওয়েবে থাকে না। কারণ স্টার কিংবা সেলিব্রেটি কলগার্লরা অতটা প্রকাশ্যে প্রচার হতে রাজী হয় না।

চাহিদা মতো স্কর্র্টের কলগার্ল পেতে ক্লায়েন্টকে বেশ কিছু শর্ত পালন করতে হয়। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে- স্কর্ট এজেন্সিকে ক্লায়েন্টের পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর প্রদান, যোগাযোগের জন্য একটা কন্ট্যাক্ট নম্বর (মোবাইল/টেলিফোন), কোন হোটেলে স্কর্ট আয়োজন করতে চাইলে তা কমপক্ষে থ্রিস্টার হোটেল হতে হয় এবং ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রেও হতে হয় মানসম্মত।

ওয়েব সাইট থেকে জানা যায়, ঢাকা স্কর্ট এজেন্সি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত। ঢাকা ভিত্তিক এইভাবে উন্মুক্ত কলগার্ল ব্যবসাকে বৈধ বলে দাবি করেন স্কর্ট কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা স্কর্র্টের আজাদ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, কলগার্লের এই বিজনেস প্রফেশনালি বৈধভাবে করে থাকেন তারা। ঢাকা স্কর্র্টের ওয়েব সাইটে দেখা যায়, ফেডারেল লেবেয়িং এন্ড রেকর্ড কিপিং ল’ (১৮ ইউএসসি ২২৫৭) অনুযায়ী তাদের কার্যক্রম বৈধ এবং কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত।

একাধিক আইনজীবীরা বলছেন, এই আইনের দোহাই দিয়ে যৌন ব্যবসা বৈধ করার কোন সুযোগ নেই। এছাড়া খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্কর্ট এজেন্সি খুলে কলগার্ল ব্যবসা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পুলিশ গুলশান জোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, কোনভাবেই যৌন ব্যবসা বৈধ হতে পারে না। উল্লেখিত আইনের কথাও এর আগে শোনেননি বলে জানান তিনি। আর ওয়েব সাইটের মাধ্যমে একেবারে প্রকাশ্যে এই ধরনের যৌনব্যবসা চলছে শুনে তিনি বিস্মিত হন।

কলগার্ল হতে আগ্রহী যারা:

স্কর্ট এজেন্সিগুলো কলগার্ল হতে ইচ্ছুকদের ওয়েব সাইটের মাধ্যমে আহ্বান জানায়। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া সুন্দরী মেয়ে, গৃহিনী এবং কম বয়সী তরণীদের লোভনীয় প্রস্তাবের মাধ্যমে আকৃষ্ট করার প্রবণতা লক্ষ করা যায়।

গোপনীয়তা, নিরাপত্তা ও আর্থিক স্বাচ্ছন্দ এবং কম বয়সে লাখপতি হওয়ার সুযোগ। এ রকম নানা প্রলোভনে কলগার্ল হওয়ার প্রস্তাব দিয়ে থাকে এসব স্কর্ট এজেন্সিগুলো। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরাসরি এজেন্টরা নতুন কলগার্ল নিতে ডিল করে না। মাধ্যম হিসেবে তৃতীয় একটি পক্ষকে ব্যবহার করে থাকে। ফলে কেউ কলগার্লের খাতায় নাম লেখালে সেক্ষেত্রে এজেন্সিকে দায়ী করা যায় না।

যেমন রেট তাদের:

সাধারণতঃ ৪ ক্যাটাগরির কলগার্ল পাওয়া যায়। বয়স, ফিগার এবং ইন্টেলেকচুয়াল-এর ওপর ভিত্তি করে ক্যাটাগরি নির্ধারণ করা হয়। এলিট ‘এ’, এলিট ‘বি’, প্রিমিয়াম ‘এ’ এবং প্রিমিয়াম ‘বি’ক্যাটাগরি অনুযায়ী কলগার্লদের পেতে টাকা খরচের অঙ্কেও পরিবর্তন আসে। এলিট ক্যাটাগরির কলগার্লদের স্বল্প সময়ের জন্য বুকিং দেয়া যায় না। প্রিমিয়ার ক্যাটাগরির কলগার্লদের আধা ঘণ্টার জন্য বুকিং দিলে কমপক্ষে ৪০ ডলার গুনতে হয়।

আর এলিট শ্রেণীর সর্বনিম্ন রেট ২০০ ডলার (প্রতিঘণ্টা) তবে সময় বাড়লে রেটে কিছুটা তারতম্য হয়। পুরো রাতের জন্য এ লেবেলের এলিট কলগার্লদের রেট ৮০০ থেকে ১০০০ ডলার।

প্রতি তিন সপ্তাহ অন্তর কলগার্লদের ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়। ফলে কলগার্লদের সংস্পর্শে ক্লায়েন্টদের কোন প্রকার যৌনবাহিত রোগ হবে না বলেও নিশ্চয়তা দেয় এজেন্টরা।

পছন্দের কলগার্লকে নিয়ে ঢাকার বাইরে যাওয়ারও সুযোগ রয়েছে। হিল ট্রাক্টস্‌, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার এমনকি দেশের বাইরেও নিয়ে যাওয়া সম্ভব। আর সেক্ষেত্রে দরকার শুধু টাকা। এলিট কলগার্লদের প্রায় সকলেরই পাসপোর্ট রয়েছে। পছন্দসই স্কর্ট অর্ডার দেয়ার পর ঢাকা হলে এসকর্ট আয়োজনে সময় লাগবে সর্বোচ্চ একঘণ্টা। সিলেট, চট্টগ্রাম ১২ ঘণ্টা এবং দেশের বাইরে তিনদিন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, দেশের নতুন, পুরানো অনেক মডেল, টেলিভিশন ও সিনেমার বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী এমনকি প্রাইভেট চ্যানেলের সংবাদ পাঠিকাও কলগার্লের খাতায় নাম লিখিয়েছেন।

তবে এদের রেট প্রচলিত রেটের চেয়ে অনেক বেশি। এদের সাথে প্রোগ্রাম কিংবা স্কর্টে অংশ নিতে হলে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হয়। অগ্রিম টাকা নেয়া হয় না। সে ক্ষেত্রে নতুন ক্লায়েন্ট হলেও প্রতারিত হওয়ার ভয় থাকে না বললেই চলে।

কলগার্ল অর্ডার দেয়ার পর তাকে দেখে পছন্দ না হলে অর্ডার বাতিল করা যায়। বিভিন্ন দেশের প্রচলিত মুদ্রায় বিল পরিশোধ করা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে টাকার সাথে সাথে ডলার, পাউন্ড এবং ইউরোকেই অগ্রাধিকার দেয়া হয়। প্রাইভেসির জন্য শুধুমাত্র নগদ ক্যাশে বিল দিতে হয়। চেক কিংবা ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড গ্রহণযোগ্য নয়।

পরিশেষে:

কলগার্ল হচ্ছে মুখোশের আড়ালে চালিয়ে যাওয়া একটি পেশা। দেশে ঠিক কতজন কলগার্ল আছে, সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। আর এটা এমন একটা পেশা যেখানে পেশাজীবী থাকেন আড়ালে, গোপনে। এখানে যেমন যৌনবাহিত রোগের ঝুঁকি রয়েছে, তেমনি জানাজানি হলে পারিবারিক ও সামাজিক অশানিত্মও অপেক্ষা করছে।

ফলে সবার অলক্ষে প্রতিদিন কতজন মেয়ে এই পেশায় নাম লেখাচ্ছে, তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু যারা কলগার্ল নিয়ে ব্যবসা করে তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ সংখ্যাটি একেবারেই কম নয়। আর যদি সত্যি সত্যিই তেমনটি হয়ে থাকে, তবে তা যথেষ্ট আতঙ্কের কারণ। কেননা, তাহলে যে মুখশের আড়ালে হারিয়ে যাবে বিবেকের এবং চিরচেনা বাংলার সবুজ নারী।