সকল মেনু

তিস্তা ও স্থল সীমান্ত চুক্তি, নভেম্বরে দিল্লী যাচ্ছেন দীপু মনি

xdipumoni-00020131023221350.jpg.pagespeed.ic.45TlsBXj0H  কলকাতা প্রতিনিধি, ২৪ অক্টোবর:  তিস্তা ও স্থলসীমান্ত চুক্তি আদায় করে তবেই সাধারন নির্বাচনে যেতে চায় শেখ হাসিনার সরকার। শুধু বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হিসাবে দীপু মনির কাছে ভারত বাংলাদেশের মধ্যকার এই চুক্তি দুটিকে বাস্তবায়ন করা এখন তাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের সঙ্গে তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি ও স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। আর সেই লক্ষ্যে শেষবারের মতো ভারত সফরে আসছেন দিপু মনি। ভারতের বিদেশমন্ত্রনালয় সূত্রের খবর, আগামী মাসেই (নভেম্বর) বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ভারত সফর করবেন।

সূত্রের খবর আগামী বছরের শুরুতেই বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচন আর মে-জুন এ ভারতে সরকার নির্বাচন তাই তার আগেই শেষবারের মতো দুই দেশের মধ্যেকার বহু প্রতীক্ষিত এই বকেয়া চুক্তিগুলি বাস্তবায়ন করতে উদ্যোগী হয়েছে দুই দেশের সরকার।
এই সফরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ, পানিমন্ত্রী হরিশ রাওয়াতের সঙ্গে দেখা করতে পারেন দীপু মনি। তবে আলাদা করে পাশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে দিপু মনির সাক্ষাত হবে কিনা সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট হয়নি।
এর আগে স্থলসীমান্ত চুক্তির বিষয়ে কথা বলতে চলতি বছরের জুলাই মাসেই ভারত সফরে এসে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মণি দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, বিদেশমন্ত্রী সলমান খুরশিদ, বিজেপির রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা অরুণ জেটলির সঙ্গে। সেসময় জেটলি দীপু মণিকে জানান দলের সঙ্গে এবিষয়ে আলোচনা করেই এই বিলটি সংসদে পেশ করানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হবেন।
কিন্তু পরবর্তীকালে দেশটির বিদেশমন্ত্রী সংসদে স্থলচুক্তি সংশোধনী বিলটি পেশের উদ্যোগ নিলে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তৃণমূলের আঞ্চলিক দলগুলো।
উল্লেখ্য, তিস্তা পানি বন্টন নিয়ে অসন্তোষের কারণে গত ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকায় মনমোহনের সফরসঙ্গী হননি মমতা। সেসময় তিস্তা পানি বন্টন চুক্তির খসড়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর মতে তিস্তা চুক্তিতে রাজ্যের স্বার্থ রক্ষিত হচ্ছে না। মমতা বলেছিলেন গ্রীষ্মের সময় তিস্তা থেকে ২৫ হাজার কিউসেকের বেশি পানি বাংলাদেশকে দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ সেসময় তিস্তায় পানির স্তর খুবই কমে যায়। তাই এর বেশি পানি দিলে উত্তরবঙ্গের কৃষি চরম ভাবে মার খাবে। বাংলাদেশের সমস্যা মেটাতে গিয়ে বঞ্চিত হবে উত্তরবঙ্গ। সামগ্রিকভাবে এর প্রভাব পড়বে গোটা পশ্চিমবঙ্গে।
যদিও এই চুক্তির বিষয়ে পরবর্তীতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বেশকয়েকবার মমতাকে বোঝানের চেষ্টা হয় কিন্তু নিজের অবস্থানেই অটল থাকেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে এই চুক্তির ব্যাপারে ভারত এখনও আশাবাদী। ভারতের আগামী বছরের মাঝামাঝি নাগাদ সাধারন নির্বাচন অনুষ্টিত হতে চলেছে। তাই রাজনৈতিক বাধ্যবাধ্যকতার কারণেই মমতাকে কোনভাবে চটাতে চাইছে না কেন্দ্রীয় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার।
ভারতের বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকেও আশাপ্রকাশ করে বলা হয়েছে এই চুক্তির যথার্থতা মমতাকে বোঝানো যাবে। এবং খুব শীঘ্রই তাঁর সম্মতি নিয়েই বাংলাদেশের সঙ্গে এই চুক্তি করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top