সকল মেনু

দেশ হবে ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত-প্রধানমন্ত্রী

PM-bg20131021023930  হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা ২২অক্টোবর:  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, সরকার দেশের দক্ষিণাঞ্চলকে আবারও শস্যভাণ্ডার হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে । দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত, কৃষিতে নতুন দিগন্তের সূচনা, গ্রামীণ অর্থনীতিকে মজবুত করা, আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পভিত্তিক অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। জাতীয় কৃষি নীতি চূড়ান্ত করার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে এদেশকে স্বনির্ভর, সচ্ছল, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করতে তার সরকার বদ্ধপরিকর। সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের সময় দেশ খাদ্য ঘাটতিতে ছিল, এমনকি সারাবিশ্বে খাদ্যের জন্য হাহাকার ছিল। আমরা সেই অবস্থা মোকাবেলা করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছি। খাদ্যে উদ্বৃত্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, পাট আমাদের অর্থকরী ফসল। গবেষণার মাধ্যমে পাটের জীবন রহস্য উন্মোচন করে পাটকে নতুন জীবন দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানীরা। অনেক বন্ধ পাটকল আমরা চালু করেছি, সেগুলো থেকে পাটজাত পণ্য তৈরি হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। পাটের স্বর্ণালী অতীতকে ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জানান, গত সাড়ে চার বছরে তার সরকার কৃষিতে ২৪ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। কৃষকরা ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে সহজ শর্তে কৃষিঋণ নিয়ে এবং সময়মতো ফেরত দিয়ে কৃষির উন্নয়নে আরও বেশি ভূমিকা রাখতে পারছেন।

তিনি বলেন, আমরা প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ওপরে এনেছি। মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৪৪ ডলারে উন্নীত করেছি। দেশের অর্থনীতির প্রাণ গ্রামীণ অর্থনীতিকে মজবুত করে সচ্ছলতা ও স্বাবলম্বিতার দিকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামীন অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশের ৭ বিভাগে ৭টি অর্থনৈতিক জোনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলা হচ্ছে। তিনি বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকারের দিকে আমরা নজর দিচ্ছি। মানুষের মৌলিক অধিকার থেকে যেন বঞ্চিত না হয়, সে ব্যাপারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে তোলা হবে। যাতে করে কোনো নারীকে কাজ শেষে বাসায় এসে পুনরায় রান্না বান্নার কাজে যোগ দিতে না হয়। যেন বাসায় এসে তৈরি করা খাবারই তারা পান। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্য দেশকে মধ্য আয়ের দেশে পরিনত করতে আমরা সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছি। দেশের প্রতিটি এলাকায় সুষম উন্নয়ন করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ঢাকা শহেরে যে রকম ভাবে ফ্লাইওভার নির্মাণ করে যানজট নিরসনে কাজ করেছি তা অন্য কোনো সরকার পারবে না। অনুষ্ঠানে কৃষি উন্নয়নে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির মাঝে পদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।অন্যদের মধ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা এবং জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top