সকল মেনু

প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেল দ্বিতীয় শ্রেনীর এক ছাত্রী

2/4/2006 7:48 AM মো.নুরুন্নবী বাবু.দিনাজপুর প্রতিনিধি ২২ অক্টোবার :  দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার পল্লীতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেল সাথী (১১) নামের দ্বিতীয় শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী। সোমবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আযাহার উদ্দিন নিজে উপস্থিত হয়ে এই বিয়ে ভেঙ্গেদেন। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আগমনের খবর পেয়ে পালিয়ে যান এক সন্তানের জনক বর আজিজুল (৩০)। অণ্যদিকে ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে না দেওয়ার সর্তে মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় ওই ছাত্রীর বাবা সায়েদ আলীকে। এ ঘটনায় ওই গ্রামের সকলকে সতর্ক করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তবে দ্বিতীয় শ্রেণীর ওই ছাত্রীর বাবার দাবি অভাবের তাড়নায় সংসারের খরচ যোগাতে না পেরে মেয়ের বিয়ে দিচ্ছেলেন। জানাগেছে, হাকিমপুর উপজেলার আলিহাট ইউনিয়নের গোমড়া গবিন্দপুর গ্রামে এক সন্তানের বাবার আজিজুল (৩০) সাথে সায়েদ আলী কণ্যা দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী সাথী মনির (১১) বিবাহ দেওয়া হচ্ছে। গোপন সুত্রে এমন খবর পেয়ে সেমবার রাতে ওই ছাত্রীর বাড়িতে অভিযান চালায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আযাহার উদ্দিন। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আগমনের খবর পেয়ে পালিয়ে যান এক সন্তানের জনক বর আজিজুল (৩০) স্থানীয়রা জানায়, আজিজুলের প্রথম স্ত্রী স্বামি-সন্তান ফেলে অণ্যএকজনের হাত ধরে পালিয়ে গেছে। গবিন্দপুর মোকামদহ রেজিঃপ্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাফুজার রহমান জানান, সাথী তার বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী সে সরকারের দেওয়া উপবৃত্তি নিয়োমিত ভোগ করে আসছে। সাথীর বাবা সায়েদ আলী জানায়, অভাবের সংসার। সংসারের পাশাপাশি মেয়ের খরচ বহন করতে তাকে হিমশিম খেতে হয়। ছেলে পক্ষের মেয়েকে পছন্দ হওয়ায় মেয়ের বিয়ে দিচ্ছিলাম। ইউএনও স্যার এসে নিষেধ করায় বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমি স্যারকে কথা দিয়েছি ১৮ বছরের আগে আমার মেয়ের বিয়ে দিবো না। আলিহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল বাবু জানান, এই বিয়ে ভেঙ্গে দেয়াতে এলামকার মানুষ সচেতন হবে এবং তাদের মেয়েরা সাবালক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবে না। তাই এই অভিযানটির প্রয়োজন ছিল। এই ঘটনায় ওই সাথী নামের ওই মেয়ে শিশুটি নির্ঘাত বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেল।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আযাহার উদ্দিন জানান, বিষয়টি এতটাই অমানবিক যে, একটি সন্তানের পিতা ৩০ বছরের যুবকের সাথে ১১ বছরের এক শিশু কণ্যার বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। প্রথমিক ভাবে মেয়ের বাবা নিজের ভুল স্বিকার করায় এবং ১৮ বছরের নিচে মেয়ের বিয়ে না দেওয়ার সর্তে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top