সকল মেনু

চাঁদপুরের কচুয়ায় চলছে সকাল সন্ধ্যা হরতাল

Chandpur Hortal Footageনিজস্ব বার্তা পরিবেশক, চাঁদপুর।- চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা বিএনপির’ ডাকা সকাল সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে বিএনপি নেতা কর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুর ১টার দিকে কচুয়া-ঢাকা সড়কের তেগুরিয়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২৩ রাউন্ড সর্টগান ও এসএমজির ৭ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। সংঘর্ষের সময় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকসহ ৮ পুলিশ আহত হয়েছে। এ সময় আরো ১০-১২জন আহত হয়েছে। আহতরা প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে । পুলিত তিন পিকেটারকে আটক করেছে।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন জানান, সকাল থেকেই হরতাল সমর্থকরা ওই এলাকায় প্রায় ২০-টি গাড়ি ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে তারা গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখে। পুলিশ খবর পেয়ে তেগুরিয়া মোড় এলাকায় আসলে পুলিশকে লক্ষ্য করে বিএনপি নেতা কর্মীরা ইটপাটকেল ছোড়ে। পরে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালায়।

এর আগে সকালে চাঁদপুর- কুমিল্লা মহাসড়কের জগৎপুর ও কচুয়া-ঢাকা সড়কের পালাখাল এলাকায় রাস্তায় গাছে গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখে পিকেটাররা। এছাড়া কচুয়া- কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কের সুবিদপুর এলাকায় রাস্তায় গাছের গুড়িতে আগুন দিয়ে সড়ক অবরোধ করে। পরে পুলিশ গিয়ে গাছের গুড়ি সরিয়ে ফেলে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

হরতালের কারণে ঢাকা- কুমিল্লা ও চাঁদপুরেরর সাথে কচুয়ার যে কোনো ধরণের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে পূজা ও ঈদে বাড়ি আসা মানুষজন কাজের উদ্দেশ্যে কচুয়া ত্যাগ করতে পারছে না। রাস্তায় রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে উপজেলার সব রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা হরতাল প্রতিরোধ বা পুলিশকে সহায়তা না করে চাঁদপুর থেকে হরতাল কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাঁধা দিচ্ছে। তারা সাংবাদিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দিচ্ছে।

চাঁদপুর কারাগারে বন্দি অবস্থায় চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি দোলোয়ার হোসেন দুলালকে নির্যাতন করে হত্যার প্রতিবাদে উপজেলা বিএনপি ওই হরতাল আহ্বান করে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর দুলালকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক করে চাঁদপুর জেলখানায় প্রেরণ করা হয়। ৩ অক্টোবর সে জামিনে মুক্তি পেলেও তাকে ওইদিনই আবার চাঁদপুর জেল গেট থেকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করে অন্য একটি মামলায় কোর্টে পাঠায়। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে পুনরায় জেলহাজতে প্রেরণ করে। গত ৪ অক্টোবর সে জেলখানায় অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তাকে চাঁদপুর জেলা কারাগারে তিনবার চিকিৎসা করা হয়েছে। ১৭ অক্টোবর তার অবস্থার অবনতি ঘটলে প্রথমে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে কুমিল্লা রেফার করে। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় ওইদিনই দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় সে মারা যায়। চাঁদপুর জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ বলছে, দুলাল জ্বর ও গ্যাসের সমস্যায় ভুগছিল। দুলালের বয়স হয়েছিল ৪৬ বছর।

দুলালের মৃত্যুর প্রতিবাদে ডাকা হরতালের সমর্থনে খন্ড খন্ড মিছিল বের করেছে নেতা কর্মীরা। কচুয়া বাজরের দোকানপাট রয়েছে বন্ধ। কড়ৈয়াতে চারটি সিএনজিতে ভাংচুর চালিয়েছে হরতাল সমর্থকরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top