সকল মেনু

কে হবেন সর্বদলীয় সরকারের প্রধান?

ঢাকা: নির্বাচনকালীন সময়ে সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সর্বদলীয় সরকারের প্রধান কে হবেন সেই বিষয়টি স্পষ্ট করেননি তিনি। কে হবেন সর্বদলীয় images (1)সরকারের প্রধান? এখন এই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, দুই দলের আলোচনার ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে। অন্যদিকে বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করবেন-এমন ঘোষণার পরই আলোচনায় বসার ব্যাপারে চিন্তা করবেন তারা। পাশাপাশি সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাবকে বিএনপির আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করার কৌশল বলেও মন্তব্য করেছেন ওই নেতা।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ২৪ অক্টোবর সরকারের বর্তমান মন্ত্রিসভার পদত্যাগের কথা রয়েছে। সে অনুযায়ী বিএনপি ২৫ অক্টোবর থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালে কঠোর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। কিন্তু তার আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলের কাছে সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন। এজন্য বিরোধীদলের কাছে নামও চেয়েছেন তিনি। শুক্রবার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিরোধী দলের কাছে প্রস্তাব করছি যে, বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকেও আপনারা নাম দিতে পারেন যাদেরকে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে মন্ত্রিসভায় সদস্য করে সর্বদলীয় সরকার গঠন করতে পারি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে আলোচনার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এখন বিরোধীদলের উচিত প্রাথমিক আলোচনায় অংশ নেয়া।’
আলোচনার মাধ্যমে সর্বদলীয় সরকারের প্রধান ঠিক করার সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে দপ্তরবিহীন এ মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের মধ্য দিয়ে আশার আলো দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি দা-কুড়ালের সংস্কৃতি পরিহারের যে আহ্বান জানিয়েছেন তাও শান্তির বার্তা দিচ্ছে।’
তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু মনে করেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে নতুন কিছু নেই। তিনি ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যদি নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার প্রধান থাকবেন না এমন ঘোষণা দিতেন তবে বিএনপি বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখতো। তিনি এর আগেও বিএনপিকে বিভ্রান্ত করার জন্য ২৪ অক্টোবরের পর সংসদ ভেঙে দেয়ার কথা বলেছিলেন। এখন সর্বদলীয় সরকারের কথা বলে নতুন করে ধুম্রজাল সৃষ্টি করতে চাইছেন। বিরোধী দলের আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করতেই তাঁর এ প্রস্তাব।’
এদিকে গণমাধ্যমকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে বিরোধী দলের সাড়া দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন,  বিদ্যমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সমঝোতার পথেই এগিয়ে যাওয়া উচিত।
আকবর আলি বলেন, ‘বিরোধী দল কী চায় তা কখনো স্পষ্ট করেনি। এখন সংসদে আলোচনায় বসা উচিত। কোথায়, কীভাবে তাদের সঙ্গে একমত হওয়া যায় তা আলোচনা হতে পারে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top