সকল মেনু

প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান দেশের বিরোধী দলগুলোর

imagesনির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তারা বলেছেন, নির্দলীয় সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন জনগণ মানবে না। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোট, জাগপা, ন্যাপ ভাসানীসহ বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ ব্যাপারে আজ শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার (অব.) আ স ম হান্নান শাহ বলেন, দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে চাই, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারের যে প্রস্তাব করেছেন তাতে বোঝা যায় তিনি আগের অনড় অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসেছেন। তিনি যদি আর একটু সরে নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নেন তাহলে সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। আপনারা কি প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব মেনে নিচ্ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না আমরা মেনে নিচ্ছি না। আমাদের দাবি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার। এছাড়া অন্য কোনো প্রস্তাব আমরা মানবো না। তিনি প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যে কিছুটা বরফ গলেছে বলেও উল্লেখ করেন। ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তার এই বক্তব্য তিনি আগেও দিয়েছেন। এতে চলমান জাতীয় সংকট উত্তরণের কোন দিক নির্দেশনা নেই। তিনি তার বক্তব্যে সরকারের সফলতা তুলে ধরেছেন মাত্র। কিন্তু তিনি তার সরকারের কোন দুনীতির কথা উল্লেখ করেননি। তিনি আরো বলেন, বর্তমানেও দেশে সর্বদলীয় সরকার রয়েছে। কারণ এখানেও বিএনপি-জামায়াত ছাড়া সবদলের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। সুতরাং এক দুই জন মন্ত্রী দিয়ে কোন লাভ নেই। আসল কথা হলো এই সরকারের প্রধান কে হবে। এই ব্যাপারে তিনি কিছুই বলেননি। জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দৈনিক সংগ্রামকে বলেন,  এটি প্রধানমন্ত্রীর পুরান বক্তব্য নতুন করে বলেছেন। এতে জাতির জন্য কোন দিকনির্দেশনা নেই। আমরা ক্ষমতা চাই না, জনগণের ভোটাধিকার চাই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এখন আর আমাদের একার দাবি নয়। এটি জনগণের দাবিতে রূপ নিয়েছে। এজন্য জনগণ রক্ত দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে বিরোধী দলের ইতিবাচক সারা দেয়া মানেই জনগণের সাথে বেঈমানি করা। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, তার এই নতুন ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তিনি গত নির্বাচনের আগে বলেছিলেন ঘরে ঘরে চাকরি দিবেই। এবার তিনি বলছেন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিবেন। এসব তার নির্বাচনী কৌশলমাত্র। ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক ও মহাসচিব হাসরত খান ভাসানী এক প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ২০২১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার অভিসন্ধি। তারা আরো বলেন, দেশবাসী নির্দলীয় সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন জনগণ মানবে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top