সকল মেনু

দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৩০ গ্রামে মঙ্গলবার পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা

চট্টগ্রাম: দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৭টি উপজেলার ৩০টি গ্রামে মঙ্গলবার পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশে প্রচলিত নিয়মের একদিন আগেই এসব গ্রামের প্রায় দুই হাজারেও বেশি পরিবার মঙ্গলবার পশু কোরবানী দিয়েছেন।
advance-EID-BG20131014230659
একদিন আগে ঈদুল আজহা উদ্যাপনকারীদের বেশির ভাগই চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার সিলসিলিয়া আলীয়া জাহাগীর (র:) দরবার শরীফের পীরের অনুসারী।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় মির্জারখীল দরবার শরীফের মাঠে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন  ওইসব এলাকার মানুষেরা।

মির্জারখিল গ্রামের বাসিন্দা বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা সিফাত আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন,‘সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এবং দরবারের নিয়মানুসারে আমরা ঈদের নামাজ আদায় করেছি। একই কোরবানীর প্রস্তুতিও চলছে।’

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামে মঙ্গলবার সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সাতকানিয়ার মীর্জারখীল জাহাগীর পীরের দরবার শরীফে। সেখানে সকাল ৯টার দিকে আশপাশের গ্রামের লোকজন ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

এরপর ঈদের বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে আনোয়ারার সরকার হাট এলাকার হযরত লতিফ শাহ’র মাজারসংলগ্ন তৈলারদ্বীপ মসজিদ মাঠে।

এলাকাবাসী জানান, প্রায় দু’শ বছর আগে পীরসাহেব তার মুরিদদের নির্দেশ দিয়েছিলেন সৌদি আরবে যেদিন চাঁদ দেখা যাবে পরদিন থেকেই বিশ্বের সবখানে রোজা পালন শুরু হবে। একই নিয়মে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহাও পালন করতে হবে।

এরপর থেকেই চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মির্জারখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা সৌদি আরবের রীতি অনুসারে রোজা ও দুটি ঈদ পালন চলে আসছে।

চন্দনাইশের কাঞ্চননগর গ্রামের মো. জাভেদ বাংলানিউজকে বলেন,‘দরবার শরীফের পীর সাহেবের নির্দেশ ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ‌ঈদের নামাজ পড়ে কোরবানী দিয়েছি।’

গ্রামগুলো হচ্ছে, সাতকানিয়া উপজেলার মীর্জারখীল, চরতি, সুইপুর, ঘাসিয়াডাঙ্গা, কেরানীহাট, পটিয়া উপজেলার কালারপোল, হাইদগাঁও, মলপাড়া, বাহুলী, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, গাছবাড়ীয়া, হারালা, বাইনজুড়ী, কানাইমাদারি, ঢেমশা, আনোয়ারার তৈলারদ্বীপ, বুরুমছড়া, বারখাইন, সরকারহাট, গহিরা, বারশত, বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ, খরণদ্বীপ, পূর্ব গোমদন্ডী, পশ্চিম কধুরখীল।

এছাড়া দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, পূঁইয়াছড়া ও ডোমার এবং লোহাগাড়ার ধর্মপুর ও কলাউজান গ্রামে ঈদ পালিত হচ্ছে।

সাতকানিয়া থানার ওসি  (চলতি দায়িত্ব) মো. হারুন অর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন,‘সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখেই সাতকানিয়ার কয়েকটি গ্রামে ঈদ পালিত হচ্ছে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top