সকল মেনু

বন্ধু আমি হাতটা বাড়াও

ঢাকা: পুলিশের বদনাম সবাই করে। সুযোগ পেলেই ছুঁড়ে মারে বাজে মন্তব্য। দূর থেকে ‘এটা সেটা’ বলে গালিও দেয়। বন্ধু হিসেবে পুলিশকে ভাবতেই যেনো গায়ে লাগে অনেকের। কিন্তু বিপদে পড়লে পুলিশই যে এগিয়ে আসে সে কথা কেউ কেউ ভুলেও যায়। পুলিশও যে মমত্ববোধ দিয়ে মানুষকে ভালোবাসে, সে দৃশ্যও মনে রাখে ক’জন?
image_58297_0
সোমবার বিকেল। অফিসগুলো বন্ধ। ব্যস্ততম রাজধানী ফাঁকা। কাকরাইলের বিজয়নগর মোড়ে অলস আড্ডায় ব্যস্ত কজন পুলিশ সদস্য। দিনের শেষে তারাও হয়তো ফিরে যাওয়ার সময় গুনছেন। হাসি, গল্পে আড্ডাটা যে বেশ জমে উঠেছে, দূর থেকেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল।

এমন জম্পেশ আড্ডা ভেঙে বেরিয়ে এলেন এক পুলিশ সদস্য। এগিয়ে গেলেন ফুটপাতের দিকে। যেখান দিয়ে পার হচ্ছিলেন দু’পাহীন, অসহায় মানুষটি। পা নেই বলে হাতের উপর ভর করে হাঁটতে হয় তাকে। ঈদুল আজহার দু’দিন আগে মানুষের একটু সহায় পেতেই তিনি বেরিয়েছেন হয়তো।

মানুষটার এমন অসহায়ত্ব দেখে পুলিশ সদস্যটি হয়তো আর আড্ডায় থাকতে পারেননি। উপুড় হয়ে বসে পড়লেন লোকটার পাশেই। নিজেদের আড্ডা ভেঙে মানুষটির সঙ্গেই গল্প জুড়ে দিলেন। খোঁজ নিলেন পরিবারের, তার এমন অসহায়ত্বের।

একজন পুলিশ সদস্যের এ দৃশ্য দেখে চারপাশে অনেকেই ভিড় জমিয়ে ফেলেছে। সেদিকে তোয়াক্কা নেই পুলিশটির। মানুষটির সঙ্গে মিশে গেছেন তিনি। তার সুখ-দুঃখের কথা শুনে শান্তনাও দিলেন নিজের মতো করে। তারপর পকেট থেকে বের করে লোকটির হাতে গুঁজে দিলেন সামর্থ অনুযায়ী সাহায্য। এ দৃশ্য দেখে এগিয়ে এলেন অন্য এক পুলিশ সদস্যও।

পুলিশের এমন মানবিক ব্যবহার দেখে মুগ্ধ হলেন অনেকেই। কেউ কেউ বলে উঠলেন- ‘এমন পুলিশ হওয়াই উচিৎ। যারা মানুষের সেবায় এগিয়ে আসে।’ কেউ আবার বললেন, ‘কয়েকজন খারাপ পুলিশের জন্য পুরো পুলিশ সমাজ বদনামের দায় নিয়ে বেড়াচ্ছে। এমন ভালো পুলিশের সংখ্যা বাড়লেই মানুষ প্রকৃত বন্ধু পাবে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top