সকল মেনু

কলাপাড়ায় গরুর হাটে খাজনা আদায়ের নামে অরাজকতা : চলছে চাঁদাবাজী

  নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১৪ অক্টোবর :  

gorur_hat_2010কলাপাড়ায় গরুর হাটগুলোয় খাঁজনা আদায়ের নামে চলছে চাঁদাবাজী। ফ্রি-স্টাইলে ক্রেতা, বিক্রেতা এবং ফড়িয়া সকলের কাছ থেকে গরু প্রতি দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। একটি গরু বিক্রি করলে তিন পার্টির কাছ থেকেই খাঁজনা আদায় করা হয়। এমনকি গরু বিক্রি করতে না পারলেও তাদের কাছ থেকে খাঁজনা আদায় করা হয়। হাট-বাজার গুলোতে খাজনা আদায়ের রেটচার্ট টানিয়ে দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা কেউ কখনও চোখে দেখেন নি। মোট কথা খাজনা আদায়ের নামে চলছে হরিলুট। আর একারণে শেষ সময় সরকারের ভাবমুর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একটি গরুর ক্রেতার কাছ থেকে সর্বনি¤œ আদায় করা হচ্ছে এক থেকে দেড় হাজার টাকা। আর একই গরুর বিক্রেতার কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে এক থেকে দু’শ টাকা। এছাড়া ফড়িয়াদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে গরু প্রতি কমপক্ষে পাঁচ শ’ টাকা। রবিবার বাবলাতলা বাজারে খোঁজ নিয়ে খাজনা আদায়ের এমন অরাজক পরিস্থিতির খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। ক্রেতা সাধারণ এসবের প্রতিকার চাইতে সাহস পায় না। কারণ অধিকাংশ হাট-বাজারের ইজারাদার সরকারি দলের এক শ্রেণীর নেতাকর্মী। একই দৃশ্য কলাপাড়া পৌর শহরের হাটটির। নোমরহাট, মিঠাগঞ্জ, পাখিমারা, চাপলী বাজার, বানাতিবাজার, মহিপুরসহ অন্তত ১২টি হাটেই একই দৃশ্য। উপজেলা কিংবা পুলিশ প্রশাসন কেউই এমন নৈরাজ্য প্রতিরোধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেই। ভুক্তভোগী বালিয়াতলীর আসমান হাওলাদার জানান, এমন খামখেয়ালী তিনি আগে দেখেন নি। সেখানকার আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রভাবশালী এক নেতা জানালেন, তিনি নিজেও একটি গরু কিনে এক হাজার টাকা খাজনা দিয়েছেন। তার ভাষ্যমতে কলাপাড়ার সোহেল মিরার লোকজন খাঁজনা আদায় করে আসছে। সরকারি নিয়ম অনুসারে গবাদি পশুর হাটের খাঁজনা আদায়ের জন্য সরকারের নির্দিষ্ট টোলরেট রয়েছে। শতকরা পাঁচ টাকা করে খাঁজনা আদায়ের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সর্বনি আদায় করা হয় শতকরা ১০টাকা। আর সর্বনি এক হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে বিক্রেতার কাছ থেকে। ক্রেতাকেও গুনতে হচ্ছে খাঁজনার টাকা। আর ওই টোলের রেটচার্ট বাজারগুলোয় টানিয়ে দেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু এই নিয়ম এখানে কোন ইজারাদার মানছেন না। নিয়মটি কার্যকর করাতে প্রশাসনেরও কোন দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেই। ফলে ভুক্তভোগী মানুষের দুর্ভোগ কমছে না। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

#

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top