সকল মেনু

‘টুঙ্গীপাড়ায়ও ততবার যাইনি, যতবার চট্টগ্রামে এসেছি’-শেখ হাসিনা

haxina2 চট্টগ্রাম অফিস,হটনিউজ২৪বিডি.কম:  বন্দর নগরীতে উন্নয়ন কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নৌকায় পুনরায় ভোট দিতে চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সরকারের মেয়াদে শুরুতে এসে চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সরকারের মেয়াদের শেষে এসে শনিবার বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারসহ ২১টি প্রকল্প উদ্বোধনের পর এক সুধী সমাবেশে আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট ও দোয়া চান তিনি। চট্টগ্রামের উন্নয়ন কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এবার সরকার গঠনের পর যতবার চট্টগ্রাম এসেছি, ততবার টুঙ্গীপাড়াতেও যাইনি। এতে থেকে বোঝা যায়, চট্টগ্রামের উন্নয়নে আমরা কতটা আন্তরিক ও সচেষ্ট। “একসময় এখানকার রাস্তাঘাট খারাপ ছিল। মহিউদ্দিন চৌধুরী যখন মেয়র ছিলেন, তখন চট্টগ্রামের চেহারা পাল্টে যায়। চট্টগ্রামকে যানজটমুক্ত আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।” বন্দর নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে নেয়া সরকারের নানা উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমান সরকারের সফলতা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ আমলে অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও ব্যবসা-বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রবৃদ্ধি ছয় ভাগের ওপরে ধরে রাখা গেছে। দারিদ্র্য বিমোচন ৪০ থেকে ২৬ ভাগে নামিয়ে আনা হয়েছে। “অনেক কাজ শেষ করেছি, অনেক কাজ চলছে। এজন্য দরকার সরকারের ধারাবাহিকতা,” বলে নৌকা প্রতীকে ভোট চান শেখ হাসিনা। ২০০৮ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রাম নগরীর চারটি আসনের সব কটিকে বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট মনোনীত প্রার্থীরা। জেলা ও নগরী মিলিয়ে মোট ১৬টি আসনের ১১টিতে জয় পায় মহাজোট।

বিএনপি-জামায়াত জোটের দিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, “১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আমাদের সরকারের ধারাবাহিকতা পরবর্তী সরকার ধরে রাখতে পারেনি।” সকালে বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার উদ্বোধন শেষে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উন্মোচন করে জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ মাঠে সুধী সমাবেশে আসেন তিনি। চট্টগ্রামে বিদ্যুতের সাম্প্রতিক সঙ্কটের বিষয়টি শুনে তিনি বলেন, “কিছু সমস্যা হচ্ছে, নতুন সঞ্চালন লাইন নির্মাণের কাজ চলছে, ভবিষ্যতে আর হবে না।”

চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে বিমানবন্দর থেকে বারিক বিল্ডিং হয়ে কর্ণফুলী তৃতীয় সেতু পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ঘোষণাও দেন প্রধানমন্ত্রী।

চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রশংসা করে তিনি বলেন, শান্তি ও উন্নয়নের শহর এই বন্দরনগরী। এর সুনাম যেন থাকে। চট্টগ্রাম বন্দর মানসম্পন্ন বন্দরে পরিণত হয়েছে, যা অতীতে ছিল না। চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়ক চার লেইনের কাজ চলার বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, রেল লাইন উন্নত করার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। গোমতী ও মেঘনা নদীর ওপর আরো দুটি সেতু নির্মাণ করা হবে। ক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার কাজ চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি। গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে প্রস্তাব এসেছে। সেগুলো যাচাই বাছাই চলছে। সুধী সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আবদুল মান্নান খানও ছিলেন। haxina2সুধী সমাবেশ শেষে শেখ হাসিনা বিএমএতে সেনাবাহিনীর দরবার এবং বিকালে নৌবাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top