সকল মেনু

দৌলতপুরে রুকসানারাকে ধর্ষনের পর শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা

Rukshnara-2 কাঞ্চন কুমার,কুষ্টিয়া:  জোর পূর্বক ধর্ষনের পর স্তন কেটে দিয়ে এবং যৌনাঙ্গে ক্ষতবিক্ষত করাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অমানবিক নির্যাতনের পর গৃহবধূ রুকসানারা খাতুনকে (২২) নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর পূর্বে নিহত গৃহবধুর লাশের সুরত হাল করার সময় পুলিশ ও এলাকাবাসী নির্যাতনের এসকল ক্ষতচিহ্ন অবগত হোন। মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউপি’র গুলাবাড়ি কলেজ পাড়া গ্রামে আমিন সর্দারের ছেলে নিহতের খালাতো ভাই শরিফুল আলম (২৪) রুকসানারা খাতুনকে মুখ বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ শেষে ধারাল অস্ত্র দিয়ে তার স্তন কেটে দেয় এবং যৌনাঙ্গেও ক্ষত করে অমানবিক নির্যাতনের পর তাকে হত্যা করে। বৃহস্পতিবার বিকালে ওই এলাকায় গেলে এলাকার সাধারন মানুষ নির্মম এ হত্যাকান্ডের লোহমর্ষক বর্ননা দেন। এদিকে হত্যাকান্ডের এ ঘটনা ধামা চাপা দিতে ঘাতক পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে এলাকার কাজল মালিথা, ফজল হক, আমজাদ হোসেন ও লিয়াকত মেম্বরসহ ৫/৬ জন প্রভাবশালী মহল নিহত পরিবারকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে নিহতের স্বামী রায়হান আলী জানিয়েছেন। থানা থেকে মামলা তুলে না নিলে তাকেও তার স্ত্রীর মত পরিণতি হবে বলে প্রভাবশালীরা হুমকিতে জানিয়েছে। এদিকে নিহতের দাফন সম্পন্ন করার আগেই হত্যাকারীদের হুমকিতে নিহতের পরিবার চরম আতংকের মধ্যে রয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন। জানা গেছে, রায়হান আলীর স্ত্রী এক সন্তানের জননী রুকসানারা খাতুন তার নানা সিরাজ সর্দারের বাড়িতে থাকা অবস্থায় একই এলাকার অমিন সর্দারের ছেলে নিহতের খালাতো ভাই শরিফুল আলম রুকসানারা খাতুনকে মুখ বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ শেষে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। উল্লেখ্য এ ঘটনার কয়েক বছর আগেও ঘাতক শরিফুল আলম তার ছোট বোন ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে একই কায়দায় হত্যা করে ঘরের ডাফের সাথে ঝুলিয়ে রেখে হত্যার ঘটনা ধামা চাপা দেয়। হত্যাকান্ডের বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি আব্দুল খালেক জানান, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ঘাতককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। শীঘ্রই তাকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top