সকল মেনু

‘প্ররোচনায় কারখানা ধ্বংস করবেন না’-প্রধানমন্ত্রী

20130124-pm-sheikh-hasina460 জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা ,১০অক্টোবর:  ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সাম্প্রতিক অসন্তোষের প্রেক্ষাপটে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে ‘সমঝোতাপূর্ণ সম্পর্ক’ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারো প্ররোচনায় কারখানা ধ্বংস না করে এ শিল্পের শ্রমিকদের সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি কারখানা মালিকদের ‘বিলাসিতা’ কমানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ আয়োজিত ২৪তম বাটেক্সপোর উদ্বোধন করে বলেন, “গার্মেস্টস সেক্টর নিয়ে চক্রান্ত ষড়যন্ত্র চলছে। সেজন্য মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে একটি সমঝোতামূলক সম্পর্ক থাকতে হবে। এতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকা এবং ঐক্য থাকা একান্ত জরুরি।” তৈরি পোশাক শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কারখানা, মালিক ও শ্রমিক একে অপরের পরিপূরক- এটা মনে রাখতে হবে। “শ্রমিক ভাই-বোনদের প্রতি আমার একটাই আহ্বান- যে কারখানায় কাজ করেন, অর্থ উপার্যন করে আহার জোগাড় করেন, বাসস্থানের ব্যবস্থা করেন, আহার ও জীবীকা নির্বাহ করেন। কারো উপর যাতে আঘাত না আসে।বা, নিজেরা যাতে ধ্বংসাত্ম কাজে লিপ্ত না হন। “এই কারখানা থাকলে কাজ থাকবে। কাজ থাকলে আপনারা ভালোভাবে থাকতে পারবেন। তাহলে, আমাদের দেশের রপ্তানিও বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু কারো প্ররোচনায় যদি প্ররোচিত হয়ে নিজের কারখানায় ধ্বংসাত্মক কাজ করা হয়, তাহলে এর থেকে দুঃখজনক কিছু নেই। তখন কারখানাও থাকবে না। নিজেরাও কাজ হারাবেন।”

হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গার্মেন্ট মালিকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, “কারখানা সুরক্ষিত করা যেমন শ্রমিকদের দায়িত্ব। তেমনি মালিকদের অনুরোধ করব শ্রমিকদের প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব রাখার জন্য। তারা কী খায়, তাদের ছেলেদেয়েদের ভবিষ্যত কী- তাও দেখতে হবে। “আপনারা বিলাসিতা কম করলে; স্যুট টাই দু’একটা কম পড়লে কিন্তু ক্ষতি নাই। তাতে শ্রমিকরা পেট ভরে খেতে পারলে দ্বিগুণ উৎসাহে আপনাদের কাজ করে দেবে।” প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের শুরুতেই সাভারের রানা প্লাজাসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিক, কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবকদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং আহত ও অসুস্থদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে তৈরি পোশাক শিল্পের উন্নয়নে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তিনি অুনষ্ঠানে তুলে ধরেন। অন্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, বাণিজ্য মন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের, নৌ-পরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী ফারুক খান, বিজিএমইএয়ের সভাপতি আতিকুল ইসলাম এবং বিজিএমইএয়ের দ্বিতীয় সহ-সভাপতি এস এম মান্নান কচি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনাসহ কূটনৈতিক, তৈরি পোশাক ও বস্ত্র শিল্প মালিক এবং বিদেশি ক্রেতা ও বিনিয়োগকারীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top