সকল মেনু

স্মার্টফোনে স্যামসাংকে হটিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ওয়ালটন

3G-08-10-2013 অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : স্মার্টফোনের বাজারে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে দেশী ব্র্যান্ডগুলো। বিশেষ করে গ্রাহক পর্যায়ে তৃতীয় প্রজন্মের তারহীন প্রযুক্তির নেটওয়ার্ক সেবা চালুর আগেই বেড়ে গেছে স্মার্ট ফোনের বিক্রি। সংশ্লিষ্টদের হিসাব মতে দ্বিতীয় প্রান্তিকে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড স্যামসাংকে পেছনে ফেলে এক ধাপ এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশী ব্র্যান্ডের সেলফোন ওয়ালটন। স্যামসাংকে হটিয়ে স্মার্টফোন বাজারে ওয়ালটনের অবস্থান এখন দ্বিতীয়। ভারতভিত্তিক দক্ষিণ এশিয়ার বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাইবার মিডিয়া রিসার্চের (সিএমআর) প্রান্তিক (৩ মাসের) প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এদিকে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে ঈদ উপলক্ষ্যে বিশেষ ছাড় ঘোষণা করেছে ওয়ালটন । বাংলাদেশ মোবাইল হ্যান্ডসেট ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বিএমপিআই জানিয়েছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) স্মার্ট ফোনের আমদানি বেড়েছে ১৯৭ শতাংশ। বছরের শেষ নাগাদ স্মার্ট ফোনের বিক্রি ১০ থেকে ১২ শতাংশ বাড়বে। ওয়ালটনের উপ-পরিচালক (সেল্যুলার ফোন ডিভিশন) এস এম রেজওয়ান আলম বলেন, বাজারে মূলত ৪ থেকে ৬ হাজার টাকা দামের হ্যান্ডসেটই বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে এই দামের ফোনগুলোর মধ্যে কেবলমাত্র ওয়ালটন মোবাইলেই থ্রিজি সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, থ্রি-জি সুবিধা পেতে অন্য ব্র্যান্ডের মোবাইল কিনতে গেলে ক্রেতাদের কমপক্ষে ১০ হাজার টাকার ওপরে গুনতে হবে। ঈদ উপলক্ষ্যে বিশেষ ছাড় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবার ঈদে ওয়ালটন প্রিমো সিরিজের হ্যান্ডসেটের দাম কমানো হয়েছে। এখন বাজারে প্রিমো এক্স-১ ১৮৬৯০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬৯৯০, আর-২ ১৬১৯০ থেকে ১৪৯৯০, এন-১ ১৪৯৯০ থেকে ১৩৯৯০ এবং এইচ-২ হ্যান্ডসেট ১৪৪৯০ থেকে কমিয়ে ১৩৪৯০ টাকা করা হয়েছে।ওয়ালটনের স্মার্টফোন প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, থ্রিজি সেবার জন্য বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের সবচেয়ে উপযোগী সেট ওয়ালটন। ওয়ালটন দিচ্ছে সর্বোচ্চ মানের বিক্রয়োত্তর সেবা। তাদের রয়েছে শক্তিশালী সফটওয়্যার টিম। যারা নিয়মিত আপগ্রেডেশনের কাজ করছেন, নতুন ফার্মওয়্যার আপলোড করছেন। শিগগিরই গুগল প্লে স্টোরে সফটওয়্যার পাওয়া যাবে। থাকবে নতুন নতুন অ্যাপস।

সাইবার মিডিয়া রিসার্চের (সিএমআর) প্রান্তিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সেলফোন ব্যবহারকারীদের প্রায় ১৯ শতাংশের হাতে রয়েছে স্মার্টফোন। আগের প্রান্তিকের মতো স্মার্টফোনের বাজারের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে সিম্ফনি। প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে সিম্ফনির বাজার অংশ ১৪.৪ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সিএমআর টেলিকম অ্যানালিস্ট নেহা শেখওয়াত। তিনি জানিয়েছেন, চালানের দিক দিয়েও এগিয়ে আছে সিম্ফনি। সেলফোন বাজারে এ ব্র্যান্ডের ইউনিট শিপমেন্ট হয়েছে ৩৪.৭ শতাংশ। শিপমেন্ট বা আমদানির দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে ভারতীয় ব্র্যান্ড মাইক্রোম্যাক্স ৮.৩ শতাংশ এবং তৃতীয় ম্যাক্সিমাস ৭.২ শতাংশ। অন্যদিকে প্রথম প্রান্তিকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড স্যামসাংকে হটিয়ে নিজেদের অবস্থান পোক্ত করেছে দেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটন। স্মার্ট ফোন বাজারের ১২.৮ শতাংশ এখন ওয়ালটনের দখলে। অপরদিকে এক ধাপ পিছিয়ে পড়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকা স্যামসাং স্মার্ট ফোনের বাজার অংশ ১১.৬  গত বছর দেশে হ্যান্ডসেট বিক্রি হয়েছে ১ কোটি ৭৪ লাখ। চলতি বছর এটি দুই কোটি ছাড়াতে পারে।

সিএমআরের প্রতিবেদন মতে, আগের প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে হ্যান্ডসেটের আমদানি ১৮.৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ লাখ। আমদানি করা হ্যান্ডসেটের মধ্যে ৯২.৩ শতাংশই ফিচার ফোন। আর বাকি ৭.৭ শতাংশ দখলে নিয়েছে স্মার্ট ফোন। স্মার্ট ফোনের পাশাপাশি ফিচার ফোনের বিক্রিও এ সময় বেড়েছে। মূলত ৪ থেকে ৬ হাজার টাকা দামের হ্যান্ডসেটই বেশি বিক্রি হচ্ছে। প্রতিবেদন মতে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) এক লাখ ৩৩ হাজার ১০১টি স্মার্ট ফোন আমদানি হয়। আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে এ ধরনের ফোন আমদানি করা হয়েছে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৬০৭টি। প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে স্মার্টফোনের আমদানি ১৯৭.২ শতাংশ বেড়েছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশে ৪৭ লাখ ৩৯ হাজার ৩২৮টি ফিচার ফোন আমদানি করা হয়েছে। আগের প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে ফিচার ফোন আমদানি বেড়েছে ১৩ শতাংশ। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের এ ধরনের হ্যান্ডসেট আমদানি করা হয় ৪১ লাখ ৯৩ হাজার ৭২৯টি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top