সকল মেনু

পন্ডিত বিজন চৌধুরীর চীর বিদায়

  চট্টগ্রাম করেসপন্ডেন্ট: শত, মত সঙ্গীত অনুরাগী, ভক্ত, শুভানুধ্যায়ীর চোখের জলে চীর বিদায় নিলেন মঞ্চে তবলা বাজাতে বাজাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়া দেশের বিখ্যাত তবলাবাদক পন্ডিত বিজন চৌধুরী। শনিবার সকাল ১১টার দিকে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। এসময় ফুলে ফুলে ঢেকে যায় বিজন চৌধুরীর মরদেহ।  বিখ্যাত বাঁশীবাদক ওস্তাদ ক্যাপ্টেন আজিজুল ইসলাম, কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পী শীলা মোমেন, ওস্তাদ মিহির নন্দী, মিহির লালা, নজরুল সঙ্গীত শিল্পী মৃণাল ভট্টাচার্য, সিপিবি চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি মৃণাল চৌধুরী, খেলাঘর সংগঠক রথিন সেন, শিল্পী অনিতা লালা, থিয়েটার ইনস্টিটিউটের পরিচালক আহমেদ ইকবাল হায়দারসহ সর্বস্তরের শিল্পী, ভক্ত, অনুরাগীরা সমবেত হন পন্ডিত বিজন চৌধুরীর মরদেহ ঘিরে। এছাড়া বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি চট্টগ্রাম জেলা শাখা, উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদ, খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগর, খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরী কমিটি, সদারঙ্গ, চট্টগ্রাম যন্ত্রশিল্পী সংস্থা, আর্যসঙ্গীত, আনন্দধ্বনি, ফুলকিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও বিজন চৌধুরীর মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় অনেকে বিজন চৌধুরীর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। পন্ডিতের মৃত্যুতে শোকবিহ্বল অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

দুপুর ১২টার দিকে তার মরদেহ শেষকৃত্যানুষ্ঠানের জন্য বলুয়ার দিঘির পাড় অভয়মিত্র মহাশ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়।

পন্ডিত বিজন চৌধুরী শুক্রবার রাতে থিয়েটার ইনস্টিটিউটে ওস্তাদ আজিজুল ইসলামের বংশীবাদনের সঙ্গে তবলা বাজাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি মঞ্চে অসুস্থ হয়ে এক পর্যায়ে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top