সকল মেনু

তারানা হালিম কার বিকল্প হচ্ছেন !

  নিজস্ব প্রতিবেদক : তিনি অভিনয়শিল্পী, আইনজীবী, পরিচালক এবং সংসদ সদস্য। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের  সভাপতি। একই সঙ্গে অনেক পরিচয়। এবার তিনি উঠে আসছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে! কিন্তু কার বিকল্প হিসেবে। আওয়ামী রাজনীতিতে কার স্থান নিতে যাচ্ছেন তিনি। এ নিয়ে ক্ষমতাসীন দলটির মধ্যে চলছে কানাঘুষা।  দলীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে যে কয়েক জন নারী নেত্রী বিভিন্ন সময়ে দলে সক্রিয় ছিলেন তার মধ্যে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এবং প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি অন্যতম। এ দুজন দশম জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়লেও বহাল আছেন দলীয় পদে। দলীয়ভাবে পদাসীন থেকেও তারা সাংগঠনিক কার্যক্রমে আশানুরূপ সক্রিয় নন।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক সাংগঠনিক সম্পাদক হটনিউজ২৪বিডি.কমকে বলেন, ‘আপা (শেখ হাসিনা)  সুদূরপ্রসারী চিন্তা করেই দলে কখন কাকে ফ্লোর দিতে হয় ভালো জানেন। তিনি প্ল্যান-পরিকল্পনা নিয়েই দলের গতিপ্রকৃতির দিকে লক্ষ রাখেন। আর উনি (তারানা হালিম) কারো বিকল্প হিসেবে তৈরি হচ্ছেন কি না, জানি না। কারণ তিনি গতকাল (রোববার) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন ছাত্রলীগ-নির্ধারিত প্যানেল বক্তা হিসেবে। এ থেকে নতুন করে উঠে এসেছেন আলোচনায়।’ ছাত্রলীগ সূত্র নিশ্চিত করেছে, রোববারের আলোচনা সভায় প্যানেল বক্তা হিসেবে নির্ধারিত ছিলেন পাঁচজন। তারানা হালিম বাদে অন্য চার জন হলেন ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুবলীগের প্রাক্তন সভাপতি, প্রাক্তন এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক শেখ রাসেলও হটনিউজ২৪বিডি.কমকে এই পাঁচজনকে প্যানেল বক্তা হিসেবে রাখার কথা স্বীকার করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক সহসভাপতি জানান, সমাবেশের আগে কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার পরামর্শে প্যানেল বক্তার ব্যাপারে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বস্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে সেখান থেকে এই কয়জনকে প্যানেল বক্তা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। এদিকে চেয়ার বরাদ্দ না থাকায় ছাত্রলীগের দুর্দিনের কাণ্ডারি ও ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক তোফায়েল আহমেদ মঞ্চ থেকে নেমে সভাস্থল ত্যাগ করেন। এ নিয়ে উপস্থিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে ফিসফাস ও মিথস্ক্রিয়াও দেখা যায়।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের প্রাক্তন এক সভাপতি হটনিউজ২৪বিডি.কমকে বলেন, ‘তোফায়েল ভাইয়ের মঞ্চ থেকে চলে যাওয়া সার্থক ছাত্রসমাবেশের একটা দাগ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এটার নেতিবাচকতা আমাদের উত্তরসূরিদের মধ্যে পড়তে পারে। তার জায়গা হলো না, অথচ তিনি (নাম উল্লেখ করে অন্য একজনের দিকে ইঙ্গিত করে) প্যানেল বক্তা হিসেবে বক্তব্য দিলেন!’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top