সকল মেনু

অপারেশনের পর শরীরে সুঁই : মামলা খারিজ

  নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মলদ্বারে অপারেশনের সময় শরীরের ভিতর সুঁই রেখে সেলাই করে দেওয়ার মামলায় দুই চিকিৎসক খালাস পেয়েছেন। বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মশিউর রহমানের আদালত দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এই মামলা চলতে পারে না বলে পর্যবেক্ষণ দিয়ে তাদেরকে অব্যাহতি দেন।  আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, সুঁই রেখে দেওয়ার অভিযোগে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারি মামলা চলতে পারে না, ক্ষতিপূরণ মামলা হতে পারে। অভিযুক্ত দুই চিকিৎসক হলেন চট্টগ্রামের ডাঃ সুরমান আলী এবং ডাঃ জাকির হোসেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ৩০ মে বেসরকারি এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র আমিনুল ইসলামের মলদ্বারে অস্ত্রোপচার করেন ডাঃ সুরমান আলী এবং ডাঃ জাকির হোসেন। তারা আমিনুলের শরীরের ভেতরে সুঁই রেখেই সেলাই করে দেন। অপারেশনের পর থেকে আমিনুলের শরীরে তীব্র ব্যথা অনুভব হলে ডাঃ সুরমান আলী আরও দু’দফা তার মলদ্বারে অপারেশনের নামে প্রতারণা করেন। আমিনুল ইসলাম পরে ২০১২ সালের ৩০ জুন ভারতের কলকাতায় অ্যাপোলো হাসপাতালের কনসালটেন্ট রেডিওলজিস্ট ডা. দেবাশীষ দত্তের কাছে চিকিৎসা নেন। ডাঃ দেবাশীষ দত্ত অস্ত্রোপচার করে আমিনুল ইসলামের আগের অপারেশনের স্থান থেকে একটি বড় আকৃতির শরীর সেলাই করার সুঁই বের করেন। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দ-বিধির ২৬৯, ২৭০, ৩২৬, ৪২০ ও ৩৪ ধারায় আমিনুলের মা দেলোয়ারা বেগম মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ২০১৩ সালের ৩ জুন আদালত ডাঃ সুরমান আলীর জামিন বাতিল করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এ পর্যায়ে ডাঃ সুরমান আলী জামিনে মুক্ত হন। সর্বশেষ বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম ফৌজদারী অভিযোগে এই মামলা চলতে পারে না মর্মে পর্যবেক্ষণ দিয়ে মামলাটি খারিজ করে দেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘আদালত দুই আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো এবং পাশাপাশি আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলাও দায়ের করা হবে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top