সকল মেনু

নারীর সাজে অলঙ্কার-প্রসাধনী

শানজানা জামান : বাঙালি নারীর সাজসজ্জায় অলঙ্কার অন্যতম অনুষঙ্গ। আর ঈদ আনন্দের ষোলকলা পূর্ণ করতে পোশাকের সঙ্গে চাই গহনাও। গহনা হওয়া চাই পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং করা জুতসই। ঈদের কেনাকাটায় সরগরম যখন ঈদ বাজার, তখন ক্রেতাদের হিড়িক পড়েছে কসমেটিকসের দোকানেও। রাজধানীর চাঁদনীচক ও গাউছিয়া মার্কেটের কসমেটিকসের দোকান ঘুরে এ দৃশ্যই দেখা যায়।

ফুটপাথ থেকে চাঁদনীচকের কসমেটিকসের দোকানগুলোতে ভিড় জমিয়েছে তরুণীরা। তবে তরুণীদের আগ্রহ ইমিটেশন ও গোল্ডপ্লেটিং গহনার প্রতি। এসব গহনার আবেদন শুধু টিনএজ কিংবা তরুণীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এন্টিক-জাঙ্ক ও রঙিন গহনা এ সময়ের ফ্যাশন। সালোয়ার কামিজ, জিন্স-টপ, শাড়ি, যে কোনো পোশাকের সঙ্গেই এন্টিক গহনা চলে। দামেও কম।

তাছাড়া আইলাইনার, কাজল, মাশকারা, আইশ্যাডো, লিপ লাইনার, লিপস্টিক, মেকাপ, চুড়ি, কানের দুল, মালা, ক্লিপ, টিপ, আংটি, পায়ের নূপুরের চাহিদাও চোখে পড়ার মতোই।

কথা হয় চাঁদনীচকে কেনাকাটা করতে আসা স্বরণীর সঙ্গে। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ঈদে সবুজ রঙের ড্রেস কিনেছি। ড্রেসের সঙ্গে মিলিয়ে আগেই জুতা কেনা হয়েছে। কানের দুল আর চুড়িও কিনেছি। বাকি ছিল গহনা। আজ গহনাসহ পায়েল, ক্লিব আর টুকিটাকি কিছু কসমেটিকস কিনব।

এছাড়া কাঁচের রেশমি চুড়ি তো আছেই, ঝলমলে ডিজাইনের চুড়ির বিক্রিও বেশ ভালো। এসব চুড়ির এক সেটের দাম ১০০-৫৫০ টাকা। কানের টপের দাম ১৫-৬৫০ টাকা। তবে ভালো স্টোনের দুল কিংবা মালার দাম ৬০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে পাবেন। বিভিন্ন ধরনের লকেটসহ চিকন চেইন পাওয়া যাচ্ছে ২০০-৬০০ টাকায়। এছাড়া ক্লিপ বিক্রি হচ্ছে ১০-২০০ টাকা। বিভিন্ন ডিজাইনের চুড়ি ও ব্রেসলেটের বিক্রিও বেশ ভালো।

কথা হয় চাঁদনীচক মার্কেটের দোকানি পরাগ হোসেন সঙ্গে। তিনি জানান, এবার ঈদে নতুন নতুন ডিজাইনের গহনা এসেছে। এন্টিক গহনা ভালো বিক্রিও হচ্ছে। এছাড়া জয়পুরি কানের দুল, বড় বড় উজ্জ্বল আংটিও বিক্রি হচ্ছে। পিতল, মাল্টি কালার, উজ্জ্বল রঙের বড় পাথর, কাপড় ও পুঁতি দিয়ে তৈরি করা প্রতি সেট গহনা ৬০০-১৫০০ টাকায় বিক্রি করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top