সকল মেনু

দুই তরুণের দুটি কবিতা

সাহিত্য ডেস্ক: মেঘবালিকা কাঁদবে
রফিক মুয়াজ্জিন

এমন বর্ষায় যদি মরে যাই
মেঘবালিকা কাঁদবে, জানি
অশ্রুতে ভিজবে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম
তখন আপনাদের অনেক ঝামেলা হবে, দুঃখিত পাঠক

বছর তিনেক আগে
কোনো এক চৈত্রের দুপুরে
চাকরিপ্রত্যাশী আমি চষে বেড়াচ্ছি উত্তরা থেকে মতিঝিল
গেঁয়ো ছেলে দেখে ঢাকার রোদও খুব উপহাস করছিল
এ সময় এক স্নেহময় বৃদ্ধা মেঘ মাথার ওপর ছায়া দিয়ে
আদর করলো আর বলল আমাকে-
বর্ষা এলে নাতিনের সাথে তোর বিয়ে দেব

সেই মেঘের মেয়ের মেয়ে বর্ষা বানু
আজকাল ভালবাসার বৃষ্টিতে খুব ভেজায়

অনেক আনন্দে
এমন বর্ষায় যদি মরে যাই
মেঘবালিকা কাঁদবে, জানি
অশ্রুতে ভিজবে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম
তখন আপনাদের অনেক ঝামেলা হবে, ফের দুঃখিত পাঠক

নিরাশার চাঁদরে মন
বিলাস দাস

গোধূলি ক্ষণে পাইবো তারে,
সে দাঁড়িয়ে হীনক্ষণে;
এক পায়ে,পার ভাঙ্গা কিনারে।

কৌতূহল লোচনে সুদূর মরুভূমি,
প্রভাকরের দাহ, সমীরণ ছন্দে
কৃষাণু হইছে মন,
শিরাঙ্গে নির্ঝর শীতল বৈশাখ-
পুলকিত প্রচ্ছন্ন বালুর কেতন।

ভীরু অন্তর মোর বড়ই ক্লান্ত
তবুও,বিরামহীন হামাগুরি,
গোধূলির হীনক্ষণে-
পৌঁছাইবো ওই কিনারে।

দুর্দমনীয় মন মোর পড়ছে খসিয়া,
থরোথরো অসার বাহু-অঙ্গ,
ওই ক্ষণে নিথর তরুর কাণ্ডে,
তৃষ্ণার্থ স্বরে এক বিহঙ্গ।

রৌদ্রের দাহে এই কণা পরিপূর্ণ,
তবুও চায় শিতল শিশির বিন্দু,
অশান্ত অন্তরে বুঝেছি আমি!
তবে কি!
আমি যে কালবেলার অতিথি,
না আছে হিম খানিকটা সিন্ধু।

কেন দিয়েছো ফাঁকি,
অক্ষি ছিল তিমিরে আচ্ছন্ন,
অন্তরের দ্বারে সকলই ছিন্ন,
প্রাতঃকালে গোধূলি রয়েছে মেঘাচ্ছন্ন,
প্রকৃতির এ পরিপূর্ণতায়-
চৌচির অন্তর পরিপূর্ণ।

যদিও ওই কিনারে, বিজলির
প্রচ্ছন্ন প্রবৃত্তিতে ভরবে অঙ্গ।
তবে কি!
শীতল হইবে এ অঙ্গ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top