সকল মেনু

হাজীগঞ্জ বাজার আবারো রিক্সা ভ্যান সিএনজি ও হকারদের দখলে

 শাহ মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম, চাঁদপুর: বানিজ্যিক দিক থেকে চাঁদপুর জেলার সবচে’ গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা হাজীগঞ্জ। এই উপজেলায় প্রায় সাড়ে তিন লাখ লোকের বসবাস। চাঁদপুর থেকে সড়ক পথে ঢাকা, চট্রগ্রাম, কুমিল্লায় যাতায়ত করতে হলে এই উপজেলার উপর দিয়েই যাতায়ত করতে হয়। কিন্তু চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের হাজীগঞ্জ বাজারের অংশ প্রতিদিন থাকে রিক্সা ভ্যান হকারদের দখলে। যার জন্য প্রতিদিন ওই সড়কে যানজট লেগেই থাকছে। তাছাড়া এসব কারণে দুর্ঘটনা যেন হাজীগঞ্জ বাজারের নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাঝে মধ্যে কোন মন্ত্রী বা সরকারি বড় কর্মকর্তা যাতায়াত করার সময় থানা পুলিশ ক্ষণিকের জন্য রাস্তা পরিস্কার করলেও পরে আবার আগের মতোঅবস্থায় ফিরে আসে। হাজীগঞ্জ বাজারকে যানজটমুক্ত করার জন্য তত্ত্বাবাধায়ক সরকারের আমলে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার মেয়র বারবার মিটিং করে নানা ধরণের উদ্যোগ গ্রহন করেছিলেন। এসব উদ্যোগের কারণে ক’মাস হাজীগঞ্জ বাজার যানজটমুক্ত থাকলেও অজ্ঞাত কারণে আবারো দখল হয়ে যায়। হকার মুক্ত করার জন্য পশ্চিম বাজারে হকারদের জন্য জায়গা করে দিলেও তারা সেখানে যায় না। বাজারের মূল সড়কের দু’পাশে দখল করে দোকান সাজিয়ে বসেছে।  যার ফলে হাজীগঞ্জ বাজারকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে হাজীগঞ্জ বাজারের উপর একটি রাস্তার কারণে ব্যবসায়ীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা কয়েক বছর যাবৎ দাবি করে আসছে হাজীগঞ্জ বাজারের উত্তরে  রেল লাইনের পাশ দিয়ে একটি বাইপাস রাস্তা করার জন্য। আর এ বাইপাস রাস্তা করলে দু’দিকের বাস দু’রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করবে। অথবা হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার বিশ্বরোড় থেকে পূর্ব বাজারে ব্রিজের কাছ থেকে একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করলে সকলক্ষেত্রে সুবিধা হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত বিষয়গুলোকে আমরে নেয়া হয়নি।
হাজীগঞ্জ বাজারে রিক্সার যন্ত্রণায় পায়ে হাঁটা মানুষ অস্থির হয়ে পড়েছে।  রংপুর, কুমিল্লা, রাজশাহী, শরীয়তপুর, খুলনাসহ দেশে বিভিন্ন জায়গা থেকে ভাসমান লোক এসে বস্তি গড়ে তুলে এলাকায় রিক্সা চালিয়ে জিিবকা নির্বাহ করে। এদের মধ্যে অনেকে রাতে বিভিন্ন চুরি ডাকাতিসহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
অনেক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন হাজীগঞ্জ বাজারে রিক্সা চালকরা নিজেদের মনমত ভাড়া আদায় করে থাকেন। কিলোমিটার প্রতি কত টাকা ভাড়া নেয়া যাবে  তাদের জানা নেই। এক কিলোমিটার পথ ভ্রমণের জন্য দিতে হয় ২৫/৩০ টাকা। যাত্রীদের সাথে নানা ধরণের খারাপ আচরণ করা হয়। পৌরসভা থেকে যদি প্রত্যেক রাস্তার মোড়ে একটি করে ভাড়ার তালিকা সম্বলিত বিলবোর্ড টানানো হতো তাহলে রিক্সা চালকরা তাদের মনমত ভাড়া আদায় করতে পারতো না। পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ২৫ বছর হলেও কোন চেয়ারম্যান বা মেয়র এ কাজটি করতে পারেনি।
এছাড়াও হাজীগঞ্জবাসীর জন্য গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে সিএনজি অটোরিক্সা। বৈধ ও অবৈধ সিএনজিতে গিজিগিজ করে  হাজীগঞ্জ বাজার। পুরো বাজারের মধ্যেই সিএনজি যত্রতত্র দাঁড় করিয়ে যাত্রী উঠানামার কারণে আরো বেশি যানজটের সৃস্টি বলে ব্যবসায়ীরা মনে করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top