সকল মেনু

হাজীগঞ্জে দুই কিশোরী বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল

 শাহ মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম, চাঁদপুর: নাজমা ও ফাতেমা একে অপরের বান্ধবী। একই গ্রামের তারা দু’জন। দু’জনই নবম শ্রেণীর মাদ্র্রসার  ছাত্রী। তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুহিলপুর ডিগ্রি মাদ্রাসা। সরকারি বন্ধ ছাড়া প্রতিদিন দু’জনে একত্রে যেতো মাদ্রাসায়। পড়ালেখা চলাকালীন তাদের দু’জনের জন্য পাত্র খুঁজতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন উভয়ের পরিবার। পাত্র ও বিয়ের দিনক্ষণ সবই ঠিক হলো উভয়ের পরিবারে। বাল্যবিয়ে হচ্ছে ; এ খবর শুনে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিয়ে বন্ধ করতে নিলেন পদক্ষেপ। বন্ধ হলো দু’টি বাল্যবিবাহ। ঘটনাটি হাজীগঞ্জ উপজেলার ১১নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের সাড়াশিয়া গ্রামের হাজী বাড়ির (বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পাওয়া) সেলিম হাজী ও খন্দকার বাড়ির জীবন খন্দকারের মেয়ে।
জানা যায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসারা গ্রামের প্রবাসী যুবকের সাথে জীবন খন্দকারের মেয়ে নাজমা আক্তার (১৪)-এর সাথে বিবাহের দিনক্ষণ ঠিক হয়। গত ১৭ এপ্রিল ছিলো নাজমার গায়ে হলুদ। শুক্রবার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার বাকী কাজ চলছিল। ওই সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হোসনা আফরোজার নির্দেশক্রমে উপস্থিত হন থানার এস আই আব্দুল মান্নান, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও পুলিশ ফোর্স। নাজমার মায়ের কাছ থেকে অঙ্গীকার নামা নিয়ে বন্ধ করে দেন বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা। পরে এস আই আব্দুল মান্নানসহ সকলে হাজী বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ফাতেমা আক্তারের পরিবারের কাছ থেকে নেয়া হয় আরো একটি অঙ্গীকার নামা। এ বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ হয়ে গেল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুহিলপুর ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সেফায়েত উল্যাহ্ দু’ছাত্রীর ১৮ বছর বয়সী বলে একটি প্রত্যয়নপত্র করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top