সকল মেনু

দুর্ভোগে ফরিদপুরের চরাঞ্চলের কৃষক

 জেলা প্রতিবেদক,ফরিদপুর, ২৪ এপ্রিল : ফরিদপুরের চরাঞ্চলে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য নিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের। এখন গরম। এরপরই শুরু হবে বর্ষা মৌসুম। তখন দুর্ভোগ আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

ফরিদপুরের পদ্মার চরের ৯৫ ভাগ রাস্তাই কাঁচা। ফলে পণ্য পরিবহনে ঘোড়ার গাড়ি কিংবা শ্যালো ইঞ্জিনচালিত বাহনের ওপর নির্ভর করতে হয় তাদের। আর এ বাহনের সংখ্যাও চাহিদার তুলনায় কম। অন্যদিকে রাস্তাও দুর্গম। একারণে উচ্চ ভাড়া গুনতে হচ্ছে চরবাসীদের।

৫/৬ কিলোমিটার দূরের বাজারে যেতেও জনপ্রতি ২৫-৩০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। জেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল থেকে উপজেলা শহরে আসতে ১০০ টাকা খরচের পাশাপাশি কয়েক ঘণ্টা সময় ব্যয় করতে হয় তাদের। যা একজন প্রান্তিক চাষির জন্যে দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে।

স্থানীয়রা জানান, চরে বসবাসকারী মানুষের উপার্জনের ক্ষেত্র সীমিত হওয়ায় তাদের হাতে সব সময় অর্থ থাকে না। তাই বাজারে যাতায়াতের জন্যে টাকা ব্যয় করা তাদের জন্যে কষ্টসাধ্য।

বছরের অধিকাংশ সময় ধরে পানির নিচে থাকা এসব চরের প্রধান ফসল বাদাম। পাশাপাশি প্রচুর দুগ্ধও উৎপাদন হয়।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মশালায় জানানো হয়, ফরিদপুরের শুধু চর নাসিরপুর ইউনিয়নের কয়েকটি চরেই প্রায় ২০ হাজার মণ বাদাম উৎপাদিত হয়। দৈনিক উৎপাদিত দুধের পরিমাণও সহস্রাধিক লিটার। কিন্তু তা যথাযথ বিপণন করতে না পারায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন কৃষক। ফলে চরে বসবাসকারী দরিদ্র চাষিরা আরো বেশি অসহায় হয়ে পড়ছেন।

কর্মশালায় বলা হয়, কেবল বিপণন সমস্যার কারণে উৎপাদিত পণ্য প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি করতে হয়। অথচ জেলা সদর ও উপজেলা সদরের বাজারে এসব পণ্য চড়া মূল্যে বিক্রি হয়ে থাকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top