সকল মেনু

কুষ্টিয়ার গরু পালনকারীরা লোকসানে,কোরবানীর গরু ঘুরছে হাটে হাটে

aa1 কাঞ্চন কুমার,কুষ্টিয়া:  এবারো লোকসানের কবলে পড়েছে কুষ্টিয়ার গরু পালনকারী কৃষকরা। ঈদুল আযহার আর মাত্র ৮দিন থাকলেও গরু কেনা ক্রেতা নেই হাটে। তাই কোরবানীর গরু কাঙ্খিত দাম পেলে কেউ বিক্রি করছে আবার অনেকে ভাল দামের আশায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এ হাট থেকে সে হাটে। কোরবানী উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় প্রতি বছর লাখ লাখ গরু পালিত হয়। এবছরও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি বাড়িতেই পালিত হচ্ছে কোরবানীর পশু (গরু) এবছর প্রায় ৪ লাখ গরু পালিত হয়েছে কুষ্টিয়ায়। গ্রামের প্রান্তিক থেকে মধ্যবিত্ত কৃষক একটি বাড়তি আয়ের আশায় পালন করে কোরবানীর পশু। গত ৫বছর ধরে কোরবানীর গরু পালনকারীরা লোকসান দিয়ে আসছে গরু পালনে। এবছরও লোকসানের কবলে পড়তে হবে আশঙ্কা করছে গরু পালনকারীরা। ঈদের আর মাত্র কয়েক হাট বাকি। কুষ্টিয়ার কোরবানী পশু পালনকারীরা তাই নসিমন, করিমন, আলগামন, ট্রাক বোঝাই করে আবার নিকটস্থ হাটে পায়ে হেটে গরু নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। রবিবার কুষ্টিয়ার আইলচারা পশু হাট সহ বেশ কয়েকটি হাটে সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।

পশু হাটে কোরবানীর গরু বিক্রি করতে আসেন দৌলতপুর উপজেলার দিঘলকান্দির জিয়ারত আলী। তিনি বলেন, এবছর কোরবানী উপলক্ষে মাঝারি সাইজের ৪টি গরু পালন করেছেন তিনি। গরু বিক্রির জন্য এখন হাটে হাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। খরচ অনুযায়ী দাম না পাওয়ায় এখন তিনি গরু বিক্রি করতে পারছেন না। মিরপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুরের কোরবানী পশু পালনকারী লোকমান হোসেনও এমন কথাই জানালেন।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাদালিয়ার জকিম উদ্দিন গত ২০ বছর ধরে কোরবানীর গরু পালন করছেন। জকিম উদ্দিন বলেন, গরুর খাবারের মূল্য প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছর ১০০ আঁটি বিচালির দাম ২০০-৩০০ টাকা। এবছর একশ আঁটি বিচালির দাম ৩০০-৫০০ টাকা হয়েছে। গত বছর এক বস্তা গুড়ার মূল্য ছিল (৫০ কেজি) ৭০০ টাকা এবছর ১২’শ টাকা হয়েছে। এক বস্তা (৮০ কেজি) গমের ভূসির দাম ছিল ১৪শ টাকা এবছর ২২০০ টাকা। এক বস্তা খৈলের দাম ছিল ১৬শ টাকা এবছর ২৮শ টাকা। ভেড়ামারা উপজেলার ১২ মাইলের গরু পালনকারী মিনহাজুর রহমান বলেন, বর্তমান বাজারে যে গরুর দাম ৬০ হাজার টাকা এক বছর আগে ওই বাছুরটির মূল্য ছিল ৩০ হাজার টাকা। একবছরে ওই বাছুরটি কোরবানী উপযোগী করতে ব্যয় হয়েছে ৩০-৩৫ হাজার টাকা। তিনি বলেন, গরুর দাম আগের যে কোন সময়ের তুলনায় এখন বেশি কিন্তু পালন ব্যয় বৃদ্ধির কারনে কোরবানী পশু পালনকারীদের লোকসানের শিকার হতে হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top