সকল মেনু

একজন সামান্ন মানুষের অসামান্ন কর্ম

001 প্রদীপ কুমার সরকার: ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ  ‘মা আমেনা ফাউন্ডেশন’ এ ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক জুনিয়র শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ শত টাকা, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য ২হাজার টাকা করে মাসিক হারে উপবৃত্তি দেওয়া হয়। প্রবীন অসহায় ব্যক্তি ও দু:স্থ গর্ভবতী মায়েদের জন্য দেওয়া হয় একটি বড় অংকের ভাতা। অপরদিকে নিষিদ্ধ পল্লীর ছেলেমেয়েদেরকে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আনার জন্য রয়েছে বড় একটি কর্মসূচী। সমাজের কাছে রয়েছে তার দায়বদ্ধতা। শত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও অসহায় মানুষের জন্য কিছু করে যাওয়াই হচ্ছে তার স্বার্থকতা। সমাজের এমন মহৎ প্রাণ ব্যক্তি আছেন যারা অসহায় মানুষের জন্য কিছু করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কিছুটা হলেও মুক্ত হন। এমনি এক মহৎ প্রাণ ব্যক্তি হচ্ছেন, ফজলুল হক মিরু। তিনি নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি করেছেন ‘মা আমেনা ফাউন্ডেশন’ এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি, বৃদ্ধদের জন্য বয়স্কভাতা, মাতৃত্বজনিত অসহায় মায়েদের জন্য মাতৃকালীন ভাতা, নিষিদ্ধ পল্লীর ছেলেমেয়েদের শিক্ষা বা০সস্থান ও সভ্য জগতে ফিরে আসার সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য তিনি চালু করেন ‘মা আমেনা ফাউন্ডেশন’ সিরাজুল হকের স্ত্রী অথ্যাৎ ফজলুল হক মিরু মিয়ার মাতা আমেনা বেগমের ইন্তেকালের পর তার নামে ৭ সন্তান মিলে তৈরি করেন মা আমেনা ফাউন্ডেশন। দেখা যায় বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি গ্রহণ করছে। তার নিজ গ্রামেই এ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম ২বছর আগে শুরু করেন। এর মধ্যেই সারা দেশে বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কিছু শিক্ষার্থী সহ অসহায় ব্যক্তিরা উপকৃত হচ্ছেন। তার এ সহযোগীতায় উপকৃত হচ্ছেন বেশ কয়েকজন মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও পলিটেকনিক্যাল শিক্ষার্থীসহ অসহায় হত দরিদ্র ব্যক্তিরা। ফজলুল হক মিরু শিক্ষা জীবন শুরু করেন উপজেলার উৎরাইল এম, এল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবং নিউপোট বিশ্ববিদ্যালয়-ব্যঙ্গালর-ভারত থেকে বিবিএ ও এমবিএ শেষ করার পর একটি বেসরকারী টেলিকম কোম্পানিতে কর্মরত। ৫ ভাই ২ বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। তিনি তার কর্মজীবনের আয় থেকে এক-চতুর্থাংশ তার ফাউন্ডেশনে জমা দেন। অপরদিকে এ ফাউন্ডেশনের প্রায় সিংহভাগ যিনি জমা দেন তিনি হচ্ছেন তার জেষ্ঠ্য ভাই শেখ আমিরুল হক বাবলু। উপবৃত্তির টাকা পেয়ে পুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সূবর্ণা আক্তার, শিক্ষার্থী দিপ্তি বাড়ৈ, নাজমুন নাহার, অভিভূত ও উল্লাসিত এবং সোনিয়া খানম ফরিদপুর মেডিকেল কলেজর ৩য় বর্ষের ছাত্রী বলেন মা আমেনা ফাউন্ডেশনের ছিলো বলে আমি ভালো বাভে পড়া লেখা চালিয়ে জেতে পারছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উজ্জল ইসলাম বলেন মা আমেনা ফাউন্ডেশনের শেখ আমিরুল হক মিরু সাহেব আমাকে সাহাস্য করছেন বিধায় আমি আমার পড়ালেখা চালাতে পারছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top