সকল মেনু

ঈদ ও পূজায় ফ্রিজ বিক্রি নিয়ে মার্সেলের বিশেষ প্রস্তুতি

 ms-logoঅর্থনৈতিক রিপোর্টার:  বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ফ্রিজ বিক্রি হয় কোরবানীর ঈদের সময়। তার উপর এবার ঈদ এবং দূগা পূঁজা হচ্ছে একসঙ্গে। দেশের প্রধান দুই সম্প্রদায়ের এই বড় দুই উৎসবকে ঘিরে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে ফ্রিজের বাজার। এই বাজারে ফ্রিজ বিক্রির দৌড়ে শীর্ষ স্থান দখলের লড়াইয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেল। গতবারের চেয়ে দ্বিগুন ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট নিয়েছে মার্সেল কর্তৃপক্ষ। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিদেশী বিভিন্ন নামি-দামী ব্র্যান্ডের তুলনায় দেশীয় ব্র্যান্ডের প্রতি ক্রেতাদের আকর্ষণ বেশি। উন্নত প্রযুক্তি, সাশ্রয়ী মূল্য, রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি ও ভালো বিক্রয়োত্তর সেবার কারণে দিনদিন গ্রাহকের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে দেশীয় ব্র্যান্ডগুলো। ক্রেতারা বলছেন, সাশ্রয়ী মূল্যে বিশ্বমানের দেশীয় পণ্য পেয়ে তারা খুশি। মার্সেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো- ফ্রিজ, টিভির মতো পণ্য কিনতে গেলে তিনটি বিষয় বিবেচনায় নিতে হয়। সেগুলো হলো- পণ্যের উচ্চমান, সাশ্রয়ী মূল্য এবং বিক্রয়োত্তর সেবা। এসব বিবেচনায় মার্সেল পণ্য ক্রেতা পছন্দের শীর্ষে উঠে আসছে। বাজারে বিশেষ করে মার্সেলের ফ্রিজ, টিভি, মোটরসাইকেল, এসি, ব্লেন্ডার, রাইস কুকার, মাইক্রোওয়েভ ওভেন ইত্যাদি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। সরেজমিনে দেখো গেছে, কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে মার্সেল ব্র্যান্ডের ফ্রিজ। মার্সেলের বিপণন বিভাগের সহকারি পরিচালক শামীম আল মামুন জানান, ক্রেতারা মার্সেল পছন্দ করছেন বেশ কিছু কারণে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মার্সেল ফ্রিজের রকমারি ডিজাইন ও অসংখ্য কালার। যা আমদানি করা ফ্রিজে নেই। ক্রেতারা কালার, ডিজাইন ও বাজেট মিলিয়ে সহজেই পছন্দমতো ফ্রিজ কিনতে পারছেন। ছয় মাসের মধ্যে ফ্রিজে কোনো সমস্যা হলে বদলে নতুন ফ্রিজ দেয়া হচ্ছে। দেশজুড়ে রয়েছে আইএসও স্বীকৃত বিশাল বিক্রয়োত্তর সেবা নেটওয়ার্ক। মার্সেলের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন রাজীব বলেন, তাদের লক্ষ্য ফ্রিজ টিভির মতো প্রয়োজনীয় পণ্য মানসম্মতভাবে তৈরি করে তা উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে নি¤œবিত্তদের ঘরে পৌছে দেয়া। যেকারণে তাদের পণ্যের দাম সাশ্রয়ী। তিনি জানান, গতবছর ঈদ উল আযহার তুলনায় এবার তাদের বিক্রির টার্গেট দ্বিগুন। এবছর ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ। ইতিমধ্যে শো-রুমগুলোতে বিক্রয় উৎসব শুরু হয়েছে। তিনি আরো জানান, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে মার্সেলের প্রবৃদ্ধি ২৪ শতাংশ। বছর শেষে প্রবৃদ্ধির হার ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।জানা গেছে, মার্সেল ফ্রিজে ডিইসিএস আলট্রাব্রিড ফোর ডি- প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রযুক্তির বিস্ময় এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ন্যানো পার্টিকেল ব্যবহার করার ফলে ফ্রিজে রক্ষিত খাবার দীর্ঘক্ষণ সতেজ, টাটকা ও জীবাণুমুক্ত থাকছে। এই ফ্রিজে ৮০ শতাংশ এনার্জি সেভিং এলইডি বাল্ব ব্যবহার করার ফলে বিদ্যুৎ খরচ কমে যাচ্ছে ৮০ শতাংশ।

মার্সেল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তাদের পণ্য রপ্তানিযোগ্য। ফ্রিজের পাশাপাশি টেলিভিশন এবং এয়ারকন্ডিশনারসহ অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রেও এগিয়ে রয়েছে মার্সেল। তারা উৎপাদন করছে এলসিডি, এলইডি ও সিআরটি টেলিভিশন। বছরে তিন লাখ টেলিভিশন উৎপাদনের জন্য গাজীপুরে তারা কারখানা স্থাপন করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top