সকল মেনু

বিএনপি নেত্রী আমাকে দেখতে চান না: হাসিনা

 PM-03.10.13জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম:  ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনার নেপথ্যে খালেদা জিয়া ছিলেন বলে ইঙ্গিত করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, “বিএনপি নেত্রী আমাকে দেখতে চান না। এজন্য তার এক কেবিনেটের মন্ত্রী এবং তার ছেলেকে দিয়ে ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা করে আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে।” আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে বৃহস্পতিবার কয়েকটি জেলার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী একথা বলেন। এক দশক আগে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল। ওই মামলায় বিরোধীদলীয় নেতার বড় ছেলে তারেক রহমান এবং লুৎফুজ্জামান বাবরসহ কয়েকজন মন্ত্রী আসামি। বিএনপির দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকে ওই মামলায় খালেদা জিয়ার সন্তানকে আসামি করা হয়েছে।বিএনপি চেয়ারপারসনের সমলোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, “উনি ১৫ অগাস্ট ভুয়া জন্মদিন পালন করেন। স্কুল সার্টিফিকেটে উনার জন্মদিন ৫ সেপ্টেম্বর। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তার পাসপোর্টে এক তারিখ, আর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর জীবনবৃত্তান্ততে আরেক তারিখ।” ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের দিন খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদযাপনের সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, “১৯৯৩ সাল থেকে তিনি এই জন্মদিন পালন করেন। আমরা যেদিন শোকে কাতর থাকি, সেদিন তিনি উৎসব করেন!” নিজের সরকারি বাড়ি গণভবনে দলীয় নেতাদের সঙ্গে ওই সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীতে ক্ষমতায় থেকে যুদ্ধাপরাধের চলমান বিচার শেষ করার আশাও প্রকাশ করেন। “আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে পারব, সে বিশ্বাস আমার আছে।” আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, একাত্তরে গণহত্যাকারীদের বিচারের বিপক্ষে সব সময় সক্রিয় ছিল বিএনপি।“বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী আর উপদেষ্টা করে জিয়াউর রহমান পরাজিত শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করে। আর, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করে।” যুদ্ধাপরাধের চলমান বিচারের প্রসঙ্গ ধরে তিনি বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় উনি (খালেদা জিয়া) মানুষ পুড়িয়ে মারছেন। তিনি পরাজিত শক্তির পক্ষে।” আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে আগামী নির্বাচনে জোরদার প্রস্তুতি নিতে তৃণমূল নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে ধর্ম ব্যবহার করে অপপ্রচারের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতেও বলেন তিনি। “ফজরের নামাজ পড়ে দিন শুরু করি আমরা। আমাদের কাছে ইসলাম হেফাজতে থাকে না? উনার দিন শুরু হয় বেলা ১২টায়। আর উনি না কি ইসলামের হেফাজত করেন!” নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণ ও ভোটারদের কাছে গিয়ে সরকারের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরার পরামর্শও তৃণমূল নেতাদের দেন শেখ হাসিনা। সভায় রাজশাহী জেলা, রাজশাহী মহানগর, শরীয়তপুর জেলা, নাটোর জেলা, নরসিংদী জেলা, ঝিনাইদহ জেলা ও সাতক্ষীরা জেলা এবং এই সাংগঠনিক জেলাগুলোর অন্তর্গত উপজেলা, থানা ও প্রথম শ্রেণির পৌরসভা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা অংশ নেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top