সকল মেনু

তারেক-মামুনের মামলা ,উচ্চ আদালতের আদেশ দাখিল অন্যথায় সাক্ষ্যগ্রহণ

images (2)  আছাদুজ্জামান, হটনিউজ : বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু ব্যবসায়ি গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে করা সিঙ্গাপুরে অর্থপাচার মামলার পরবর্তী তারিখ ৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। এরআগে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালত পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে উচ্চ আদালতের আদেশ দাখিলের জন্য সময় চেয়ে গতকাল আবেদন করেন। শুনানী শেষে ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মোতাহার হোসেন নতুন এ দিন ধার্য করেন। একই সঙ্গে উচ্চ আদালতের আদেশ দাখিল অন্যথায় সেদিন সাক্ষ্যগ্রহণ করার আদেশ দেন। শুনানিতে আসামি মামুনের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সানাউল্লহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার আদালতকে বলেন, আপনার (বিচারক) আদালতের প্রতি এই মামলার আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুন অনাস্থা দেয়ায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে এই আদালত পরিবর্তনের জন্য একটি আবেদন করা হয়েছে। সেই আবেদন বিচারপতি রেজাউল হক ও গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চে শুনানীর অপেক্ষায় কার্যতালিকার ৩৮২ নম্বরে আছে। তাই ওই আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম মুলতবি রাখা প্রয়োজন। কারণ উচ্চ আদালতের আদেশের ওই কপি ছাড়া আপনি ( বিচারক) মর্ম কথার বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে বুঝজে পাবেন না। অন্যদিকে সময়ের আবেদনের বিরোধীতা করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর আনিসুল হক ও মোশারফ হোসেন কাজল। গতকালও শুনানিকালে মামুনের আইনজীবী, দুদকের আইনজীবীদের মধ্যে হই হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। গতকাল এই মামরার সাক্ষ্য গ্রহনের ধার্য তারিখে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আর তারেককে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার বিচার চলছে বলে তার পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো সাক্ষীকে জেরা করার সুযোগ পাচ্ছেন না তারেকের আইনজীবীরা। ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর দুনীর্তি দমন কমিশন এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা করে। এরপরে ২০১১ সালের ৬ জুলাই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু ব্যবসায়ি গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট (অভিযোগ পত্র) দাখিল করেন দুদক। অভিযোগপত্রে বলা হয়, টঙ্গীর বিসিক শিল্প এলাকায় একটি ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র ¯’াপনের কার্যাদেশ পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে “নির্মান কনষ্ট্রাকশন লি.” কোম্পানির ব্যব¯’াপনা পরিচালক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে তারা দুই জন মিলে গ্রহন করে ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে থেকে ২০০৭ সালের ৩১ মে পর্যন্ত ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা সিঙ্গাপুরের ৬৫, চুলিয়া ষ্ট্রীট এর ওভারসীজ চাইনিজ ব্যাংকিং করপোরেশন লিমিটেড (ওসিবিসি) এ পাচার করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top