সকল মেনু

হাসপাতাল আছে ডাক্তার নেই ,রোগী আছে চিকিৎসা নেই

0,,16165994_303,00 জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু:  জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আছে ডাক্তার নেই, রোগী আছে চিকিৎসা নেই। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে বর্তমানে ডাক্তার শূন্যতা চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে এখানকার চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়েছে। এতে করে রোগীরা হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে ও ব্যহত হচ্ছে চিকিসা কার্যক্রম। চাহিদার তুলনায় ডাক্তার না থাকায় সরকারি চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ৩১ শয্যা বিশিষ্ট বকশীগঞ্জ হাসপাতালে দীর্ঘদিন থেকে ডাক্তার শূন্যতায় ভুগছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সহ ৯ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও বর্তমানে আছে ১ জন ডাক্তার। উপজেলা প.প. কর্মকর্তার পদটিও শূন্য রয়েছে ৪ মাস যাবৎ। হাসপাতালের ১ মাত্র ডাক্তার আরএমও হিবরুল বারী প.প. কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করে আসছেন।তিনি অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত থাকায় রোগী দেখার সময় পান না বলে অভিযোগ রয়েছে। ৯ জন ডাক্তারের স্থলে তিনি একাই দেখভাল করছেন। প্রয়োজনীয় ডাক্তার না থাকায় ওয়ার্ড বয়,নার্স দিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় রোগীদের জেলা সদর হাসপাতাল সহ অন্যান্য হাসপাতালেও একারণে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এ ছাড়াও চরাঞ্চলের রোগীরা ডাক্তার না পেয়ে কবিরাজী চিকিৎসা নিয়ে প্রতারিত হচ্ছে। আরও জানা যায়, উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের ৯ টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ৮টিতেই ডাক্তার শূন্য রয়েছে। উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদের সদিচ্ছার অভাবে ডাক্তার সঙ্কট কাটছে না । ফলে হতাশ হয়েছেন বকশীগঞ্জ বাসী।এ ব্যাপারে জামালপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা.হাফিজুর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উর্ধ্বতণ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি, আশা করি শিগগিরই ডাক্তার সঙ্কট কেটে যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top