সকল মেনু

চিলকুড়া গ্রামে ব্রীজ না থাকায় হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি

Abed Ali-27.09.13 মো.নুরুন্নবী বাবু.দিনাজপুর প্রতিনিধি ২৭ সেপ্টেম্বর :   বীরগঞ্জের চিলকুড়া গ্রামে ঢেপা নদীতে একটি ব্রীজ না থাকায় হাজার হাজার মানুষের দূর্ভোগ চরমে উঠেছে। কৃষকের উৎপাদিত কৃষি পন্ন নিয়ে হাটুরে ও স্কুল, কলেজ গামী শিক্ষক শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতয়াতে ভোগান্তি। উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের চিলকুড়া গ্রামে ঢেপা নদীর উপর একটি ব্রীজ না থাকায় হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি চরমে। এলকার মানুষের যোগাযোগের অসুবিধার কারনে প্রতি বছর বর্ষাকালে কলাগাছের ভেলা তৈরী করে হাটুরে ও স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পারাপাড় করে। কৃষকেরা কৃষি পন্ননিয়ে বাজার জাত করার জণ্য নিকটবর্তী গোলাপগঞ্জহাট, লাটেরহাট, ঝাড়বাড়ীহাট যাতয়াত করে। বিগত ৪ দলীয় জোট সরকারের সময় ব্রীজ নির্মানের ছয়েল টেষ্টের পর টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রচারের মাধ্যমে ঠিকাদার নির্মান করা হয়। ব্রীজ নির্মানের জন্য ঠিকাদারের নির্মান সামুগ্রী ফেলা হয় কিন্তু এলাকাবাসীর দূর্ভাগ্য অজ্ঞাত কারনে দীর্ঘদিন পর ঠিকাদার নির্মান সামগ্রী তুলে নিয়ে যায়। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বাংলাদেশের রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় অনেক সরকার দেশ পরিচালনা করাকালে বিশেষ করে জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও আওয়ামীলীগ দু’বার করে চার বার ও তত্বাবধায়ক সরকার ৪ বার ক্ষমতায় থাকলেও বহু আবেদন নিবেদন করেও চিলকুড়া গ্রামে ব্রীজটি নির্মান করা হয়নি। মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দীনেশ চন্দ্র মহন্ত, সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মজিদুল হকসহ একাধিক মরহুম চেয়ারম্যান অনেক চেষ্টা করেও ব্রীজটি নির্মান করতে ব্যার্থ হয়েছেন। নিজপাড়া, মোহনপুর, মরিচা ও শতগ্রামসহ ৪টি ইউনিয়নের ৫০-৬০টি গ্রামের উৎপাদিত কৃষিপন্ন ও বিভিন্ন ফসল নিয়ে ২০-২২ কিলোমিটার ঘুরে গোলাপগঞ্জ, লাটেরহাট ও ঝাড়বাড়ীহাটে আসতে হয়। বর্ষাকালে কোন ভাবেই নদী পাড়াপাড় করা সম্ভব হয়না। তবে শুস্ক মৌসুমে এলাকাবাসী নিজস্ব উদ্যোগে চাঁদা তুলে বাঁশের সাঁখো তৈরী করে শুধুমাত্র মানুষ যাতয়াত করতে পারলেও কোন মালামাল পাড়াপাড় করা সম্ভব হয়না। উৎপাদিত পন্ন নিয়ে অনেক দুর রাস্তা ঘুরে অতিরিক্ত সময় নষ্টকরে ও মাসুল (টাকাখরচ) দিয়ে বাজার জাত করে কৃষক তাদের উৎপাদিত কৃষি পন্নের ন্যার্য মুল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বর্ষাকালে ২০-২২ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে ঝাড়বড়ী কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয়, গোলাপগঞ্জ কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয়, বীরগঞ্জ পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ডিগ্রী কলেজ, মহিলা ডিগ্রী কলেজ ও আলীয়া ফাজিল মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতিষ্ঠানে যাতয়াত করা দুরহ ব্যাপার হয়। ২৫ বছরের মোহনপুর ইউপি’র সফল চেয়ারম্যান দীনেশ চন্দ্র মহন্ত জানান ব্রীজটি নির্মানের জন্য জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপালের সুপারিশসহ এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলীর কাছে আবেদন করা হয়েছে। প্রধান প্রকৌশলী এক বছরের মধ্যে ব্রীজটি নির্মানের আশ্বাস দিয়েছিলেন কিন্তু প্রায় ৫ বছর পেড়িয়ে গেলেও কোন সুফল হয়নি। এলকাবাসী মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ব্রীজ নির্মানের জোর দাবী জানিয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top