সকল মেনু

প্রধানমন্ত্রী কুষ্টিয়ায় আসছেন ৫ অক্টোবর

Hassina-018920130927001318 কাঞ্চন কুমার কুষ্টিয়া, ২৭ সেপ্টেম্বর:  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ অক্টোবর (শনিবার) কুষ্টিয়ায় আসছেন। শনিবার সকাল ১১টায় হেলিকপ্টারে করে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার। সেখানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যৌথভাবে ভারত থেকে আমদানি করা বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এসময় সেখানে অবস্থিত বিদ্যুৎ স্টেশন প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই দিন বিকেল ৩টায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি মহাজোট নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। কীভাবে প্রিয় নেত্রীকে বরণ করবেন, জনসভায় কতো লোকের সমাগম ঘটবে সেই হিসাব কষছেন সবাই। এ জনসভায় স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি লোক সমাগম হবে বলে মনে করছেন অনেকে। এই আলোকে জনসভা সফল করতে এরই মধ্যে মহাজোট নেতাকর্মীরা মাঠে নেমে পড়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সফল করতে জেলা আওয়ামী লীগ বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে জেলা আওয়ামী লীগসহ সব সহযোগী সংগঠন নানা প্রস্তুতি নিচ্ছে। জনসভায় ৫ লাখেরও বেশি লোক সমাগমের টার্গেট করেছে আওয়ামী লীগ নেতারা। জেলার ৬৪টি ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ বিরাজ করছে। সব ভেদাভেদ ভুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করতে একযোগে কাজ করছে আওয়ামী লীগ নেতারা।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে দুই এক দিনের মধ্যে বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরে প্রচারণা চালানো হবে বলেও আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছে। আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো রাজপথে তাদের সাংগঠনিক শক্তির মহড়া দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বলেন, নির্বাচনের আগে জননেত্রী শেখ হাসিনার কুষ্টিয়া সফর দলের জন্য বড় ভূমিকা রাখবে। এ সফরকে সফল করতে রাতদিন কাজ করছে সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। জনসভাস্থলকে লোকে লোকারণ্য করতে সব ইউনিটকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরের মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়াবাসীর অনেক চাওয়া-পাওয়া পূরণ হবে বলেও মনে করেন এই নেতা।
শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিজ বলেন, দীর্ঘদিন পর নেত্রী কুষ্টিয়ায় আসছেন। নেত্রীকে বরণ করতে আওয়ামী লীগসহ সর্বস্তরের মানুষ অধীর আগ্রহে অপক্ষো করছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে তাদের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। প্রতিদিন রাজপথে সভা সমাবেশ করা হচ্ছে।
মোমিজ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভা হবে কুষ্টিয়ার ইতিহাসে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসভা। আমাদের দলে কোনো গ্রুপিং নেই। সব নেতাকর্মী স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে সফল করতে দলীয় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছেন। তার নির্দেশনা অনুযায়ী নেতাকর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করছে।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার মানুষ জেলার ৪টি আসন মহাজোটকে উপহার দিয়েছিল। তারা আগামী নির্বাচনে আবারও মহাজোটকে ৪টি আসন উপহার দিতে প্রস্তুত।
আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য খোকসা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সফরকে সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে। নির্বাচনের আগে নেত্রীর এ সফর ভোটে বিরাট প্রভাব ফেলবে। নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হবে বলেও জানান আওয়ামী লীগের এ নেতা।
সদর উদ্দিন খান জানান, আওয়ামী লীগের এ জনসভা প্রমাণ করবে দেশের মানুষ শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে ১৪ দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে বলে জানা গেছে। জেলার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নতুন চমক দেবেন বলে সাধারণ মানুষ মনে করছে।
জনসভা থেকে কুষ্টিয়া ইসলামী কলেজকে সরকারি করণের ঘোষণা আসতে পারে বলেও একাধিক সূত্র জানিয়েছে। এছাড়া স্থানীয় এমপিরা যেসব উন্নয়নমূলক কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেগুলো যাতে দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয় সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইবে আওয়ামী লীগ স্থানীয় নেতারা।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০০১ সালে কুষ্টিয়া সফরে আসেন শেখ হাসিনা। ওই সফরে শহরের মোহিনী মিল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। এরপর দীর্ঘ এক যুগ পর কুষ্টিয়া আসছেন প্রধানমন্ত্রী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top