সকল মেনু

পরকীয়ার জেরেই খুন হন ব্যবসায়ী দেলোয়ার

হটনিউজ ডেস্ক:

রংপুরের পীরগাছায় ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন হত্যার নেপথ্যের কারণ উদঘাটিত হয়েছে। দোকানভাড়ার জন্য নয়, বরং পরকীয়ার জেরে তাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন আসামি ফারুক মিয়া।

মঙ্গলবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় রংপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামি ফারুক মিয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক মো. আবু হেনা সিদ্দিকী আসামির জবানবন্দি নেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) আশরাফুল আলম পলাশ।

তিনি বলেন, দেলোয়ার হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফারুক মিয়া আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তিনি হত্যার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। তার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি দেলোয়ারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। আসামি ফারুক হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় ছুরিটি তার বোনের বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেন। রাতে পাশের একটি জঙ্গলে লুকিয়ে থেকে পরদিন সকালে মিঠাপুকুরে চলে যান।

গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া এএসপি আশরাফুল আলম পলাশ জানান, পীরগাছা থানা ও জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি যৌথ দল টানা ৭২ ঘণ্টার বিশেষ অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফারুক মিয়াকে সোমবার সন্ধ্যায় মিঠাপুকুর উপজেলার জায়গীরহাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে ফারুক মিয়াকে আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে খুনের নেপথ্যের কারণ জানান তিনি।

দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে পরকীয়ার কারণে গত রমজান মাসে ফারুক মিয়ার সঙ্গে তার স্ত্রীর বিয়েবিচ্ছেদ ঘটে। তিন সন্তানকে নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ফারুক মিয়া। এতে দেলোয়ারের প্রতি তার ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সেই ক্ষোভ থেকেই দেলোয়ারকে হত্যা করেন তিনি। আদালত ফারুকের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।

২৭ মে রাতে পীরগাছা উপজেলার অনন্তরাম কসাইটারী কুড়ারপার ব্রিজ এলাকায় ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন হত্যার শিকার হন। দেলোয়ার হোসেন (৩৬) অনন্তরাম কসাইটারী এলাকার সবুর উদ্দিনের ছেলে। তিনি বিভিন্ন মৌসুমে ধান, গম, ভুট্টা গুদামজাত রেখে ব্যবসা করতেন। সম্প্রতি তিনি সবজির ব্যবসা শুরু করেন।

ব্যবসার জন্য নেওয়া দোকানের ভাড়া নিয়ে বিরোধের জের ধরে দেলোয়ার হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম। এ অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ফারুক মিয়ার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা সাত-আটজনকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পরপরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করে পুলিশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top