সকল মেনু

ঘুমন্ত কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, গ্রেপ্তার ২

হটনিউজ ডেস্ক:

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় কলেজছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে করা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (৮ মে) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা। তবে উপজেলার মাঝিনা এলাকা থেকে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে শনিবার (৭ মে) সকাল ৮টার দিকে পাঁচবিবির একটি এলাকা থেকে ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর ঘণ্টা দুয়েক পর ওই ছাত্রীর বড় ভাই পাঁচবিবি থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের শংকর মহন্তের ছেলে রনি মোহন্ত (৩০) ও একই উপজেলার আয়মাপাড়া গ্রামের খোরশেদ মন্ডলের ছেলে কামিনি জাহিদ (৩২)।

জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা জানান, নিহত আয়েশা ছিদ্দিকা পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের মোজ্জামেল হকের মেয়ে। তিনি জয়পুরহাট সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। আয়েশার মা চার বছর আগে মারা যান এবং বাবা ঋণ খেলাপির দায়ে জেল হাজতে আছেন। বাবা-মা না থাকায় নিহত আয়েশা তার ভাই মোস্তাকের সংসারে থাকতো।

তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করতো ও কুপ্রস্তাব দিত। তাকে ধর্ষণ করার জন্য এক সপ্তাহ যাবৎ সুযোগ খুঁজছিল। আয়েশার ভাই মোস্তাক তার শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার সুযোগে প্রতিবেশী রনি ও তার সহযোগী জাহিদসহ শুক্রবার রাতে তারা পরিকল্পিতভাবে ওয়াল টপকিয়ে সুযোগ বুঝে রাত ২টায় ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে আয়েশা বাধা দিলে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে গলা চেপে ধরলে তার মৃত্যু হয়। পরে তারা পালিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, গত শনিবার সকালে অন্য ঘরে শুয়ে থাকা কিশোরীরা উঠে বাহির থেকে ঘরের দরজা আটকানো দেখে। পরে পাশের বাড়ি থেকে তাদের মা এসে ঘরের দরজা খুলে দেখতে পান ওই ছাত্রীর মুখে কাপড় গোঁজা ও বিবস্ত্র মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে হত্যার আগে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top