হটনিউজ ডেস্ক:
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করেছেন এক সন্তানের জননী। সীমা আক্তার নামের ওই গৃহবধূ স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় আত্মহত্যা করবেন বলে বিষ কিনতে গিয়ে দোকানদারের প্রেমে ড়ে স্বামীকে তালাক দেন। এখন সেই প্রেমিকও তাকে বিয়ে করতে চাইছেন না।
জানা গেছে, প্রেমিক মো. রায়হান (২৫) সুবিদখালী বাজারের সার ও কীটনাশক বিক্রেতা উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ছৈলাবুনিয়া গ্রামের মতি মৃধার ছেলে। প্রেমিকা সীমা আক্তার (২০) উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের মানসুরাবাদ গ্রামের জব্বার জোমাদ্দারের মেয়ে।
গতকাল শুক্রবার সীমা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেছেন, প্রায় সাড়ে ৪ বছর আগে দক্ষিণ কলাগাছিয়া গ্রামের মধু চাপরাসীর ছেলে শহীদুল্লাহর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তার ৩ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। দাম্পত্য কলহের কারণে আত্মহত্যা করার জন্য রায়হানের কীটনাশকের দোকান থেকে তিনি বিষ কিনতে যান। এ সময় রায়হান তাকে বাধা দিলে তাদের মধ্যে সহমর্মিতা ও সহানুভূতির সৃষ্টি হয়।
তিনি আরও জানান, ধীরে ধীরে এটি প্রেমের সম্পর্কের রূপ নেয়। পরে প্রেমের সম্পর্ক চলাকালে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বহুবার শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। এমনকি রায়হান কৌশলে আগের স্বামীকে তালাক দিতেও বাধ্য করেন। পরবর্তীতে বিয়ের কথা জানালে রায়হান তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। তাই তিনি গত ২ মে থেকে বিয়ের দাবিতে সুবিদখালী বাজারের সার ও কীটনাশক বিক্রেতা মো. রায়হান আলীর বাংলা চাইনিজ সংলগ্ন বাসায় ৫ দিন ধরে অবস্থান করছিলেন।
গণমাধ্যমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার। তিনি জানান, স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে আমরা ভুক্তভোগী সীমাকে উদ্ধার মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছে। বর্তমানে তাকে সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি লিখিত অভিযোগ দিলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।