সকল মেনু

গ্রাহক হয়রানিতে এগিয়ে প্রাইম ব্যাংক

prime-0120130924232951  আফিফা জামান, ঢাকা, ২৫ সেপ্টেম্বর :  গ্রাহক হয়রানিতে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলির মধ্যে বেশি এগিয়ে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড। ২০১২-১৩ অর্থবছরে দেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলিতে গ্রাহক হয়রানির ঘটনা ঘটেছে ৪৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রাইম ব্যাংকের বিরুদ্ধে গ্রাহকরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সর্বাধিক ১৩৩ টি লিখিত অভিযোগ করেন। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র ৪০টি। বাকি ৯৩টি অনিষ্পন্ন রয়েছে। নিষ্পত্তির হার ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ। গ্রাহক হয়রানিতে বাণিজ্যিকখাতের ব্যাংকগুলির মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে, যমুনা ব্যাংক লিমিটেড। গত এক বছরে এ ব্যাংকটির বিরুদ্ধে গ্রাহকরা ১২১টি অভিযোগ করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক এসব অভিযোগের মধ্যে নিষ্পত্তি করেছে ৭০টি। নিষ্পত্তির এই হার ৪২ দশমিক ১৫শতাংশ। গ্রাহক হয়রানিতে এগিয়ে থাকার প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। গত এক বছরে এ ব্যাংকটির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গ্রাহকদের অভিযোগ জমা পড়েছে ১০৯টি। তবে নিষ্পত্তির হার আগের দুটি ব্যাংকের চেয়ে একটু বেশি। এসব অভিযোগের মধ্যে ৪৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ নিষ্পত্তি হয়েছে। গ্রাহকদের অভিযোগে চর্তুথ ও পঞ্চমস্থানে রয়েছে যথাক্রমে স্ট্যান্ডার্ড ও প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ব্যাংকগুলির বিরুদ্ধে মোট অভিযোগ এসেছে ৪ হাজার ২৯৬টি। এর মধ্যে নিষ্পত্তি করা হয়েছে ২ হাজার ৯৪১টি। যা মোট অভিযোগের ৬৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিরুদ্ধে। যা মোট অভিযোগের ৪৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ। রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলির বিরুদ্ধে ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ অভিযোগ আসে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ব্যাংকের প্রকৃত মালিক হলো গ্রাহকরা। সুতরাং তাদের অভিযোগ ব্যাংকগুলোকে শুনতে হবে। তাদের দিকে নজর দিতে হবে। ব্যাংকগুলোকে গ্রাহক সেবার মান বাড়াতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী জানান, তফসিলী ব্যাংকগুলির মধ্যে অনেক ব্যাংকের গ্রাহকসেবার মান সন্তোষজনক নয়। ব্যাংকগুলিকে নানাবিধ কার্যক্রম চালাতে হয় বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসবেই। স্বচ্ছ, নিবিড় ও আন্তরিকতামূলক ব্যাংকিং ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য তিনি ব্যাংকারদের আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকগণের স্বার্থ সংরক্ষণে ২০১১ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রথমে একটি ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়। পরে এর নাম ‘গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ কেন্দ্র্র’ করা হয়। গ্রাহকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত সেবা দানের মাধ্যমে এই কেন্দ্র্র অল্প সময়ের মধ্যেই ব্যাপক সাড়া ও জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top