সকল মেনু

২টি পরিবার প্রতিপক্ষের নির্যাতন ও প্রাণের ভয়ে বাড়ীঘর ছেড়ে পুলিশি পাহাড়ায় অন্যত্র

Shariatpur Pic-1 শরীয়তপুর সংবাদদাতা :  আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরধরে জাজিরার বিলাসপুরে প্রতিপক্ষের ২টি বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে। এ সময় হামলাকারীরা ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও আসবাবপত্র লুটপাট করে নিয়েগেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর পরিবার ২টি পুলিশের উপস্থিতিতে প্রাণের ভয়ে বাড়ীর আসবাবপত্র নিয়ে বাড়ীঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দাবী স্থানীয় চেয়ারম্যানের ভাই ও তার লোকজন এ হামলা চালিয়েছে। তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান নেক্কারজনক এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, দু’পক্ষের লোকজনই আমার। তবে দু’টি গ্রুপই আ’লীগের বলে জানাগেছে।

বিলাসপুর ইউনিয়নের ফারুক হাওলাদার, জাজিরা থানা ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের মুলাই বেপারী কান্দি গ্রামে স্থানীয় চেয়ারম্যান কুদ্দুছ বেপারীর গ্রুপের লোক মাস্টার আবুল মাদবর ও একই গ্রামের ফারুক হাওলাদারের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে গত ৬ মাসে কয়েক দফা সংর্ঘষ হামলা ও মামলার ঘটনা ঘটেছে। তারই জের ধরে বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার সময় মাস্টার আবুল মাদবর, রতন সিকদার, লিটন সরদার, স্বপন মাদবরসহ অর্ধশতাধিক লোকজন নিয়ে হঠাৎ করে ফারুক হাওলাদার ও মৃত্যু সামচুল হক হাওলাদারের বাড়ীতে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ সময় হামলাকারীরা হাসান হাওলাদার, ময়না গেগম, হাসিনা বেগমসহ বাড়ীর সবাইকে মারধর করে বাড়ীতে থাকা ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার নগদ টাকা ও আসবাবপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ২টি। এ ঘটনার পর পূনরায় হামলার ভয়ে ফারুক হাওলাদার ও সামচুল হক হাওলাদারের পরিবারের লোকজন প্রাণের ভয়ে পুলিশের সাহায়তায় বাড়ীর আসবাবপত্র নিয়ে বাড়ীঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। সরেজমিনে গিয়ে বাড়ীতে কোন পুরুষ লোকজন পাওয়া যায়নি। তারা হামলার ভয়ে বিগত ৩-৪ দিন আগে থেকেই বাড়ীঘর ছেওে চলে গেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে দু’পক্ষই আওয়ামীলীগের সমর্থক।

এ ব্যাপারে সামচুল হক হাওলাদারের মা মালেকা বেগম (৭৫) কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমাগো কাছে কিছু জিগাইবেন না, আমরা কিছু কইলে আমাগো মাইরা ফালাইবো। এ জন্য আমরা বাড়ীঘর হালাইয়া অন্য যায়গায় যাইতাছি গা।

ফারুক হাওলাদারের মা ময়না বেগম বলেন (৫৫) কুদ্দুস বেপারীর দলের রতন সিকদার, লিটন সরদার, মামুন মাদবর, স্বপন মাদবর ইমরান মাদবর, নুরুল ইসলাম বেপারী ও মজিবর বেপারীসহ ৫০/৬০জন সেনদা, রামদা, চাপাতি ও লাঠি সোটা নিয়ে হঠাৎ করে বাড়ীতে ঢুকে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এ সময় আমরা বাধা দিলে আমাদেরও মারধর করে বাড়ীতে থাকা স্বর্নালংকার আসবাবপত্র ও নগদ ১৩ লাখ টাকা নিয়ে যায়।

বিলাশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী বলেন, দু’পক্ষের লোকজনই আমার। তবে গত রাতের হামলাটি নেক্কারজনক ঘটনা। আমি এ ঘটনার নিন্দা জানাই। একটি পক্ষ কেন আমাকে দোষারোপ করছে এটা আমার জানা নেই। আমি দুই পক্ষকেই মিমাংসা করে দেয়ার চেস্টা করছি।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নাজমুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারীর লোকজনের সঙ্গে ফারুক হাওলাদার গ্রুপের সঙ্গে দীর্ঘ দিন থেকেই বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে কুদ্দুস বেপারীর লোকজ ২টি বাড়ীতে হামলা চলিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও তছনছ ও লুটতরাজ করেছে। জন নিরাপত্তার স্বাথ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা মামলা করলে আমরা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top