রংপুর অফিস: দ্বিতীয় দিনের মত বুধবারও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অবরুদ্ধ রয়েছেন। বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অবস্থান ধর্মঘট, বিক্ষোভ সমাবেশ ও অনশন কর্মসুচি পালন করছে। প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের যুগ্ম আহবায়ক প্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. আবু কালাম ফরিদুল ইসলাম ও সচেতন শিক্ষক সমাজের ড. তুহিন ওয়াদুদ জানান, আমাদের বেতন-ভাতা আসার পরও উপাচার্য তা ছাড় দিচ্ছেন না। ঈদুল ফিতরেও আমরা বেতন ভাতা পাইনি। ধার দেনা করেই আমাদের ঈদ পার করতে হয়েছে। গত মে মাস থেকে চলছে এ অবস্থা। ঈদুল আযহাও সামনে। বেতন ভাতা না পেয়ে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। বিষয়টি উপাচার্যকে বার বার বলার পরও কোন কাজ হয়নি। তাই আমরা বেতন ভাতার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছি, করছি অনশন। বেতন ভাতা না পাওয়া পর্যন্ত চলবে আমাদের এ আন্দোলন। এদিকে, শিক্ষকদের সাথে একাত্ততা ঘোষণা করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। গতকাল তারা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি আতিকুজ্জামান সুমন। বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসেন, তাপস গোস্বামী, আবদুর রহিম, রুবেল, লেলিন, কবির প্রমুখ। উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষকরা অবস্থান নেওয়ায় অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. একেএম নুর-উন-নবী। তিনি ৪৮ ঘন্টা ধরে তার কক্ষেই অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সুত্রে জানা গেছে, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জলিল মিয়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি)নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ৩৪২ জন কর্মকর্তা কর্মচারি নিয়োগ দেওয়ায় তাদের বেতন ভাতা বন্ধ করে দেয় ইউজিসি। পরবর্তীতে অধ্যাপক ড. একেএম নুর-উন-নবী উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ইউজিসি বৈধ্য ৩৩৬ জনের বেতন ভাতা ছাড় দেয়। এনিয়ে আন্দোলনে নামে শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা।
প্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. আবু কালাম ফরিদুল ইসলাম জানান, বকেয়া বেতন ভাতা না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের অনশন চলবে এবং অবরুদ্ধ থাকবেন উপাচার্য ।
এব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. একেএম নুর-উন-নবী জানান, এভাবে অবরুদ্ধ থাকায় কোন কাজ করতে পারছি না। তাহলে তাদের বেতন হবে কিভাবে। এছাড়া তিনি বলেন, চলতি মাসের মধ্যেই সবার বেতন ভাতা পরিশোধ করা হবে। তাই তিনি নতুন এ বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যদের কথা চিন্তা করে আন্দোলন প্রত্যাহারের আহবান জানান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।